রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন মিনুসহ রাজশাহীর শীর্ষ তিন বিএনপি নেতা। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা সাবেক এমপি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উচ্চ আদালতের একটি ব্রেঞ্চ শুনানি শেষে এক মাসের জন্য তাদের জামিন আবেদন মুঞ্জুর করেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী মহানগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ওয়াজির আলী বলেন, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নি¤œ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের জন্য তাদের আবেদন করার কথাও বলেছেন উচ্চ আদালত। তবে এ মামলায় অভিযুক্ত আরেক নেতা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর জামিন হয়েছে কী না তা বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রসজ্ঞত, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ৩১ মার্চ রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম এই চার নেতার গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এর আগে গত ১৬ মার্চ রাজশাহীর আদালতে এই চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ মহানগরীর মাদরাসা ময়দান সংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এই চার নেতা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অশোভন বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ উঠে। ওই বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় মিনুকে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। পরে ই-মেল বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন বিএনপি নেতা মিনু। কিন্তু ই-মেল বার্তায় দুঃখ প্রকাশের বিষয়টি গ্রহনযোগ্য নয় দাবি করে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছিলেন বাদি অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম। যার প্রেক্ষিতে গত ৯ মার্চ রাজশাহী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলার অনুমতি চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৬ মার্চ মামলা রেকর্ড করেন আদালত।