দিনাজপুরে পালিত হলো ২৭ আগস্ট সংবাদপত্র কালো দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দিনাজপুর প্রেসক্লাব দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করে। সকালে প্রেসক্লাব ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সাংবাদিকরা কালো ব্যাজ ধারণ করে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব ভবন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বক্সী বাচ্চুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, সিনিয়র সাংবাদিক কামরুল হুদা হেলাল, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কংকন কর্মকার, কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ফুলাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিন্নাত হোসেন, দফতর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, সাংবাদিক আজহারুল আজাদ জুয়েল, একরাম তালুকদার, সালাউদ্দিন আহমেদ, আবুল কাসেম, ফকরুল হাসান পলাশ প্রমুখ।
সভায় প্রেসক্লাব সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু বলেন, অসহায় ও জনমানুষের কল্যাণেসত্য বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা একশ্রেনীর মানুষের চক্ষুশুলে পরিনত হয়। ১৯৯৫ সালে ইয়াসমিন ধর্ষন ও হত্যা পরবর্ত্তী আন্দোলন সংগ্রামের সংবাদ সংগ্রহের সময় তৎকালিন সরকারী পেটোয়া বাহিনী পুলিশের হাতে সাংবাদিক আহত হয় এবং ক্যামেরা ভাংচুর করে। সত্য চাপা দিতে এধরনের নিষ্ঠুর নির্যাতন নিপিড়নকারীরা সবসময়েই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ইয়াসমিন আন্দোলন দমনের সাথে জড়িতরাও এ থেকে নিস্তার পাইনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে ২৪ আগস্ট কিশোরী ইয়াসমিন ৩ পুলিশ সদস্য দ্বারা ধর্ষন ও হত্যা হওয়ায় দোষী পুলিশদের শাস্তির দাবীতে শহরে হাজার হাজার বিক্ষুদ্ধ জনতা মিছিল বের করে। বিক্ষুদ্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রন করতে দাঙ্গা পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে সামু, কাদের, সিরাজসহ ৭ জন নিহত ও আহত হয় ২ শতাধিক। বিক্ষোভের এই সুযোগে কিছু স্বার্থানেশ্বী ও বিপথগামী মানুষ প্রেসক্লাবসহ ৫টি পত্রিকা অফিসে আগুন দেয়। ১৯৯৫ সালের পর থেকেই ২৭শে আগষ্টের এই দিনটিকে সংবাদপত্রসেবী সাংবাদিকরা সংবাদপত্র কালোদিবস হিসেবে পালন করে আসছে।