খুলনা সিভিল সার্জন অফিসে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের দরপত্রে জমাদানে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দরপত্র জমাদেয়ার শেষ সময় থাকলেও দরপত্র জমা দিতে বাধা সৃষ্টি করেন আগের ঠিকাদারদের লোকজন। এসময়ে অন্য ঠিকাদারদের সাথে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। জানাগেছে, খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের আওতাধীন পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যা উন্নতিকরণে আউটসোর্সিং জনবল ঘাটতি হয়ে পড়ে। যার প্রেক্ষিতে খুলনা সিভিল সার্জন অফিস গত ৫ আগস্ট বিভিন্ন পদে ১১ জন আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের দরপত্র আহবান করে। ২৬ আগস্ট দরপত্র প্রদানের শেষ তারিখ ছিল। তবে মোট চারটি শিডিউল বিক্রি হলেও দুইটি শিডিউল জমা পড়ে। বাকি দুইটি শিডিউল জমাদানে বাধা দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বেশকিছু লোকজন খুলনা সিভিল সার্জন অফিস ঘিরে পাহারায় থাকে যেন কেউ টেন্ডার বাক্সে পৌঁছতে না পারে। নাম না প্রকাশের শর্তে শিডিউল জমাদানে বাধাগ্রস্ত একজন ভূক্তভোগী ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘সিভিল সার্জন অফিসের বর্তমান হিসাবরক্ষক মাহফুজুর রহমানের সহযোগিতায় এ ধরনের কর্মকা- হয়েছে। তিনি আগের ঠিকাদারের সাথে অর্থের বিনিময়ে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তাছাড়া তিনি এক সময়ে সিভিল সার্জন অফিসের ক্যাশিয়ার পদে ছিলেন। হঠাৎ করে হিসাবরক্ষক বনে যান। তাছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পদন্নতি পেলে অন্যত্র কর্মস্থলে বদলি হওয়ার কথা হলেও তার ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন রকম। এদিকে প্রতিবার দরপত্র জমা দেয়ার সময়ে পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত থাকলেও এবার চিত্র ছিল ভিন্ন। পরে আমরা সিভিল সার্জন স্যারকে মুঠোফোনে জানাই এবং তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করেন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা করেন।’ খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবরক্ষক বলেন, ‘আমি অর্থের বিনিময়ে কাউকে কাজ পাইয়ে দেব এই কথা ঠিক না। ভেবেছিলাম, স্বাভাবিকভাবে দরপত্র জমা দান কার্যক্রম শেষ হবে। তবে পরিস্থিতি অবনতির দিক যাওয়ার পর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।’ সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মাদ বলেন, ‘দরপত্র জমা দানের সময়ে আমি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলাম। পরে ঠিকাদারদের অভিযোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে জানাই এবং সকল ঠিকাদার দরপত্র জমা দিয়েছেন।