রংপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রকৌশলী ফজলার রহমান প্রামানিক ও তার সহধর্মিনী ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা আক্তার কল্পনার বিরুদ্ধে অন্যের জমি জবর দখলের চেষ্টাসহ বিভিন্নজনকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, মমিনপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকান্ডে লিপ্ত এই দম্পতি নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষজনকে জুলুম ও অত্যাচার করে আসছে।
রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন শামীম চৌধুরী। পেশায় ব্যবসায়ী এ ব্যক্তি তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুটি এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে তিনি রংপুর নগরের ধাপ চেকপোস্টে বসবাস করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম চৌধুরি জানান, নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সাথে তার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। নজরুলের পক্ষ নিয়ে ক্ষমতার দাপটে ফজলার ও তার স্ত্রী সুলতানা সেখানে অবৈধ সুবিধা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। গত ১৮ আগস্ট সকালেমমিনপুর ইউনিয়নের হাজরাহাটি মৌজার (১৬৪ খতিয়ান, ১২৪৯ দাগ) চার একর নয় শতক জমিতে বাঁশের লাঠিসোডা ও ধারালো অস্ত্রসহ একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে লেলিয়ে দিয়ে তার পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে জবর দখলে নেয়ার অপচেষ্টা চালায়। ওইদিন স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেও কোনো প্রতিকার পাননি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত ২৭ আগস্ট বিকেলে তার চাচাতো ও ফুফাতো ভাইসহ জমি পরিচর্যাকারী শাহীনকে বেধড়ক মারপিট করেন ফজলার ও তার দলবল। মারপিটের একপর্যায়ে তাদেরকে অপহরণের চেষ্টা করেন। ফজলার ও তার লোকেরা বিরোধপূর্ণ জমির উপর থাকা ২টি পুকুরের মাছ মেরে ফেলার অপচেষ্টা করছেন। পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে প্রশাসনের কাছ থেকে সহায়তা চান শামীম ও তার পরিবারের লোকজন।
জমি দখল চেষ্টার ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও ফজলার ও সুলতানার প্রভাবে পুলিশ তা আমলে নেয়নি বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী শামীম চৌধুরীর। তার অভিযোগ, ফজলার রহমান প্রামানিক রংপুরের পাগলাপীর ঠাকুরপাড়ায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ও সংখ্যালঘু নির্যাতন মামলার অন্যতম আসামি। তার পরিকল্পনায় সেখানকার হিন্দুপল্লীতে সাম্প্রদায়িক তা-ব চালিয়েছিল বিক্ষুদ্ধ জনতা ও একদল সন্ত্রাসী। ফজলার রহমানের অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তার স্ত্রী মমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতানা আক্তার কল্পনা প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগের ব্যাপারে রংপুর সদর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমার কাছে এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ কেউ করেননি। তবে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।