করোনা মহামারীকালেও দেশে বিনিয়োগ প্রস্তাব বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) স্থানীয় ও বিদেশী মিলে মোট ১৪ হাজার ১২৭ কোটি ৯০ লাখ ৫ হাজার টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ হাজার ৪৪৪ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা বেশি। ওই হিসাবে স্থানীয় ও বিদেশী মিলে বিনিয়োগ প্রস্তাব বেড়েছে ১৪৮ শতাংশ। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্থানীয় বিনিয়োগের জন্য ১৫৮টি শিল্প ইউনিট নিবন্ধন নিয়েছে। ওই ইউনিটগুলোর প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩ হাজার ২৩৪ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। আর গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে স্থানীয় বিনিয়োগের জন্য ৩৮টি শিল্প ইউনিট নিবন্ধন নিয়েছিল। ওই ইউনিটগুলোর প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৩৩ কোটি ২৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ওই হিসাবে স্থানীয় বিনিয়োগে নিবন্ধন নেয়া শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১২০টি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর স্থানীয় বিনিয়োগ প্রস্তাব বেড়েছে ৭৬৩ শতাংশ।
সূত্র জানায়, স্থানীয় বিনিয়োগে ক্ষেত্রে কেমিক্যাল শিল্প খাতের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। তার পরেই যথাক্রমে ফুড অ্যান্ড অ্যালাইড, সেবা ও টেক্সটাইল শিল্প খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। চলতি বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১২টি শতভাগ বিদেশী ও ১৪টি যৌথ বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধিত শিল্পে অর্থাৎ ২৬টি নিবন্ধিত শিল্প ইউনিটের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৮৯৩ কোটি ৭৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা। গত বছরের একই সময়ে শতভাগ ও যৌথ বিদেশী বিনিয়োগের নিবন্ধিত শিল্প ছিল মাত্র ৮টি। আর ওই শিল্পগুলোর প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ১৫০ কোটি ২৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। ওই হিসাবে শতভাগ ও যৌথ বিদেশী নিবন্ধিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ১৮টি।
সূত্র আরো জানায়, ট্যানারি শিল্প খাতে বিদেশী বিনিয়োগ প্রস্তাব সবচেয়ে বেশি। তারপরেই যথাক্রমে ইঞ্জিনিয়ারিং, সেবা ও কেমিক্যাল খাত। নিবন্ধিত ১৮৪টি শিল্পে নতুন করে ৩৮ হাজার ৯৬৯ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তার আগে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) স্থানীয় এবং শতভাগ বিদেশী ও যৌথ মিলিয়ে বিনিয়োগে নিবন্ধিত মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৮৪টি। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪ হাজার ১২৭ কোটি ৯০ লাখ ৫ হাজার টাকা। আর গত বছরের একই সময়ে নিবন্ধিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৪৬টি আর প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৬৮৩ কোটি ৫৮ লাখ ১১ হাজার টাকা।