শরণখোলার রায়েন্দা ও মঠবাড়িয়ার মাছুয়া খেয়া পারাপারের টোল জনপ্রতি ৫০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি শরণখোলায় সুধীজন ও কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে এ টোল নির্ধারন করেন। এ সময় তিনি সরকারের উন্নয়নকে আরো গতিশীল করতে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সুশিল সমাজের নের্তৃবৃন্দসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জকে ঘিরে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
২শনিবার (২৮আগস্ট) বিকেল ৪টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাতের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শরণখোলায় পর্যাটন কেন্দ্র গড়ে তোলা, বৃষ্টিতে জলাবব্ধতা ও শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকটের স্থায়ী সমাধান, সড়ক ও ব্রীজ নির্মান, ডাক্তার ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের শুণ্যপদ পুরোনসহ বিভিন্ন সমস্যর কথা তুলে ধরা হয়। বিভাগীয় কমিশনার অচিরেই এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বস প্রদান করেন।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ শহিনুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ডাকসু নেতা মোঃ আবদুল হক হায়দার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, আসাদুজ্জামান মিলন, মাইনুল ইসলাম টিপু, জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেক খান, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার রায়েন্দা-মাছুয়া খেয়াঘাট পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে রায়েন্দা-মাছুয়া খেয়া পারাপারে ইজারাদার কর্তৃক ১৫০ থেকে ২০০ টাকা জনপ্রতি টোল আদায় করা হতো বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।