পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের ছোট কানুয়া মহল্লার শিরিন মঞ্জিল থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস মুনমুন (২৮) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যার প্ররোচনায় সোমবার রাতে চার জনকে আসামীকরে থানায় মামলা দায়ের। প্রধান আসামীসহ ৩ জন প্রেপ্তার। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন স্বামী তরিকুল আলম সুমন (৩৪), ননদ সুমনা ফেরদেীসি নুপুর (৩৮) ও শ্বাশুরী আবসর প্রাপ্ত শিক্ষক হোসনে আরা ফেরদেীস (৬৫)। শ্বশুর হুমায়ুন কবির সোহরাব হাওলাদার পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ভান্ডারিয়া পৌর এলাকার ছোট কানুয়া মহল্লার সোহরাব হোসেন হাওলাদারের ছেলে ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরে সুমন ট্রেডার্স নামে ইলেট্রনিক্স ব্যবসায়ী তরিকুল আলম সুমনের সাথে গত ৫ বছর আগে কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মেয়ে মুনমুনের বিয়ে হয়। মুনমুন সুমনের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের তিন বছর পর থেকে স্বামীর পরকিয়ায় বাধাদিলে প্রায়ই মুনমুনকে তার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করত।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে তরিকুল আলম সুমনের এক প্রতিবেশী মুনমুনের বোন স্নিগ্ধাকে জানান, তার বোনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তাকে উদ্ধার করার জন্য বলা হয়। পরে তারা এসে থানা পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘরের ভেন্টিলেটর এর সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে মুনমুনের মামা মো. এমাদুল হক বাদী হয়ে চারজনকে আমামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনায় ৩০৬ধারায় মামলা করেন।
ভান্ডারিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অপরাধে একটি মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি তরিকুল আলম সুমনসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠান হয়েছে। অন্য এক আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।