দিঘলিয়া উপজেলার ফরমাইশখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক কুমারী ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। একই এলাকার একাধিক ধর্ষক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে ওই ধর্ষিতা। তবে কে কতটুকু ধর্ষনের সাথে জড়িত তা নিরুপন করা সময়ের ব্যাপার বলে জানা গেছে। তবে এক ধর্ষককে এলাকাবাসী ধরে আনলেও এলাকাবাসীর জিম্মায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মা-বাবা মিলে কাজ করে। মা-বাবার অনুপস্থিতির সুযোগে ফরমাইশখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালের ছাত্রীকে ফরমাইশখানা গ্রামের ৩ ধর্ষক খাবার ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মাসের পর মাস ধর্ষন করে। নর পশুদের এহেন কর্মকা-ের কারণে ১২ বছরের শিশু বর্তমানে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। ধর্ষকরা হলো একই এলাকার সৈয়দ শাহিন, ছরো খান ও সাহাদৎ। সাহাদৎকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও এলাকাবাসীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে কতটুকু ধর্ষনের সাথে জড়িত তা নিরুপন শুধু সময়ের ব্যাপার। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। অন্তঃস্বত্ত্বা শিশুকে পুলিশ পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। তবে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পিতা-মাতার অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে শিশুটা একাধিক ধর্ষকের শিকার হয়েছে এবং খাবার ও নগদ টাকা দিয়ে মেয়েটিকে মাসের পর মাস ধর্ষণ করেছে। তবে কে কতটুকু দায়ী তা আদালত নিরুপন করবে।