হাওড়ের বিশাল জলরাশি আর খোলামেলা পরিবেশে স্নিগ্ধ প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে এবং হাওড়েরর দিগন্ত বিস্তৃতি স্বচ্ছ জলরাশির বুকে, নৌকায় ঘুরে বেড়াতে প্রতিদিনই হাজারও পর্যটক যাচ্ছেন। কিশোরগঞ্জের নিকলী বেড়ি বাঁধে হাওড়ে ট্রলার ও নৌকায় রাত্রি যাপন করছেন অনেক পর্যটক।
প্রকৃতির এ নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য উপভোগ করে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা। বিশাল জলরাশির বুকে বিচ্ছিন্ন ছোট ছোট গ্রাম। যেন এককেটা ছোট ছোট দ্বীপ। হাওড় জুরে গলা ডুবিয়ে থাকা হিজল গাছের সারি, বা পানির নিচ থেকে জেগে ওঠা করছেন বন, কিংবা শুশুকের লাফ-ঝাঁপ মুহূর্তেই যে কারো মন ভালো করে দেবে। প্রকৃতির এমন অপূর্ব আয়োজন নিয়ে সেজেছে, কিশোরগঞ্জের নিকলী বেড়িবাঁধ। যতদূর চোঁখ যায়, হাওড়ের টলমলে স্বচ্ছ জলের ধারা। যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে, নির্মল জচল আর আকাশের মিতালী উপভোগ করতে, দেমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে আসছেন, পর্যটকরা। সারাদিন ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি রাত কাটাচ্ছেন নৌকায়। নিকলীর ছাতিরচর ইউনিয়নে পানির নিচে ডুবন্ত এক সবুজ বন।
লেয়ারে লেয়ারে সাজানো সবুজ গাছ। গাছের বুক বরাবর পানিতে ভাসতে থাকবেন আপনিও। হুট করে দেখে আপনার কাছে মনে হতে পারে, এটা আরেক রাতারগুল। নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে ছাতিরচরে নৌকায় যেতে, প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লাগে। আর নৌকায় কয়েক ঘন্টা ঘুরলেই দেখা মিলবে, নিকলীর রাতারগুলের অপার সৌন্দর্য্য। বর্ষাকালে বিশাল এ হাওড় এলাকায় অথৈ জলরাশি দেখলে, বারবার সাগরের কথাই মনে করিতে দেবে। এখানে পর্যটকদের জন্য আর্ষণীয় স্থান হল, ক’র্শা থেকে মোহরকোনা বিস্তৃত, ৭ কিলোমিটার ব্যাপী বেড়গীবাঁধ, কামালপুর থেকে দামপাড়া পর্যন্ত প্রতিরক্ষা বাঁধ, সোয়াইজনী ও নরসুন্দা নদীর ব্রীজ। হাওড়ের বিশাল জলরাশির মাঝে, দ্বীপ সদৃশ ডুবো গ্রাম সিংপুর, ঘোড়াদিঘা ও ছাতির চর। প্রতিদিন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ ঘুরে ঘুরে দেখছেন হাওর, নদী আর বিভিন্ন স্থাপনা। তবে হাওড়ে ঘুরতে এসে করোনার কথা ভুলেই গেছেন পর্যটকরা। কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। অনেকের মুখেই ছিলনা মাস্ক। নিকলীতে ভালো মানের খাবারের তেমন ব্যবস্থা না থাকলেও, স্থানীয় বাজারে হোটেল সহ রয়েছে, কয়েকটি রেস্তোরা। সেখানে পাওয়া যাবে, নদীর তাজা মাছের স্বাদ।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসসাদিকজামান বলেন, সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘুরতে আসে সেদিকে নজর দিতে হবে। এ ছাড়া পর্যটকের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি টিম কাজ করছে।
বাজিতপুরে রাসেল স্মৃতি সংসদ অফিস অগ্নী সংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের শেখ স্মৃতি সংসদ তাতালচর চান্দুর বাড়ীর মোড়ে সংলগ্ন রাস্তার পাশে অফিসটি গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে কে বা কাহারা অগ্নী সংযোগ করে কার্যালয়টি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫-৬ লক্ষ টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল বুধ বার সকালে মোঃ এমাদ উদ্দীন বাদী হয়ে সোহাগ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আফজাল হোসেনের নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে বিএনপি জামাত শিবির কর্তক দিলালপুর রাসেল স্মৃতি সংসদ পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বাজিতপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে। প্রতিবাদ সমাবেশে সিনেমা হল দুর্জয় মোড়ে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুল হক বাবুল, দিলালপুর ইউনিয়নের মেম্বার বাবুল মিয়া, ইসলাম উদ্দীন ও দিলালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের নেতা মোঃ আশরাফ সিদ্দিক।