এক রাতের মাঝে রাস্তা করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের গ্রামের সকল ভোট নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। রাস্তার আশায় আমরাও সকল ভোট তাদেরকে সিল মাইরা দিয়া দিয়েছি, কিন্তু ভোট দেওয়ার ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও রাস্তার কোন কাজ এখনো হয়নি,পায়নি রাস্তার দেখা। ভোটের সময় মিষ্টি মিস্টি কথা বলে ভোট নেন, ভোটের পর আমাদের কথা আর মনে থাকেনা। এই রাস্তা নিয়া আমরা অনেক কষ্টে আছি, কার কাছে কমু এই কষ্টের কথা। প্রচন্ড ক্ষোভ নিয়ে কথাগুলো বলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. নোয়াব পুলিশ।
সরেজমিনে জানাযায়,নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মিরপুর,দাপুনিয়া,ওয়ারুক সড়ক যেন এক মহাদুর্ভোগের নাম। গত ১৫ বছরে ওই এলাকার রাস্তাগুলোতে তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ফলে দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে এ এলাকার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। মিরপুরÑশিবপুর সড়ক দিয়ে এই এলাকার মানুষ হাট বাজারে, ইউনিয়ন অফিসে, উপজেলা ও জেলা সদরে এবং শিবপুর সুরসম্্রাট আলাউদ্দিন খাঁ কলেজ,মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতায়ত করেন। রাস্তার বেহাল দশা দেখে মনে হয় ওই এলাকায় কি আজো কোন জনপ্রতিনিধি আছে? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করতে গিয়ে কাঁদায় আটকে গিয়ে পড়তে হয় চরম বিপাকে।
২০০৫ সালে শিবপুর বাজার থেকে মিরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত নির্মাণ করা সড়কটি এখনো চলাচলের কিছুটা যোগ্য রয়েছে। কিন্তু মিরপুর পুরানত বাজার থেকে মিরপুর নতুন বাজার, দাপুনিয়া, ওয়ারুক ও মহেশপুর যাওয়ার সড়কগুলো চলাচলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। বড় বড় গর্ত,খানাখন্দ এবং বৃষ্টির পানি জমে হাঁটু সমান কাঁদা হয়ে যায়। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি,অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
মিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো.শাহজালাল,মো. আমিরুল ভূইয়া,খোকা মিয়া,আবুল কালাম আজাদ নয়ন বলেন,রাস্তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের কাছ থ্যাইক্যা ভোট নেয় ঠিকই, কিন্তু রাস্তা আর করে দেয়না, শুধু বাটপারী করে। মিরপুর পুরান বাজার থেকে দাপুনিয়া পর্যন্ত রাস্তাটি না হওয়ার কারণে আমাদের চলাচলে অনেকে কষ্ট হচ্ছে। ছেলে মেয়েরা ঠিক সময়ে স্কুল কলেজে যাইতে পারেনা। আওয়ামী লীগের নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু রাস্তার কাজ আর হচ্ছেনা। এই রাস্তাটি যাতায়তের অযোগ্য থাকায়,গর্ভবতি মায়েদের বিভিন্ন বয়সের রোগিদের কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। রাস্তায় হাঁটু সমান কাঁদা থাকায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের বই পুস্তক অনেক সময় কাঁদায় পরে নষ্ট হয়ে যায়। মিরপুর -দাপুনিয়া-মহেশপুর ও ওয়ারুক গ্রামের এই রাস্তাটি না হয়ার কারণে আমাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা যদি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতো তা হলে আমাদের রাস্তার জন্য কষ্ট করতে হতো না।এই রাস্তাটি না হওয়ার কারণে আমরা চরম দূর্ভোগে আছি। খুব অসুবিধা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কটি পুনর্র্নিমাণ কাজ শুরু করার দাবি করছি।
শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন সরকার বলেন, ওই সড়কগুলোতে মাটির কাজ হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মিরপুর দাপুনিয়া সড়কে পাকাকরনের কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।