উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের ভাতঘরপাড়া গ্রামের ৬ বৃদ্ধকে জুয়াড়ি সাজিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে প্রতিপক্ষরা। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এমন সাজানো ঘটনায় অতিশয় বৃদ্ধদের পুলিশী হয়রানীর মুখে ফেলায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, রাজশাহীর বাগমারায় নাটকীয় ভাবে ৬ বয়োবৃদ্ধদেরকে জুয়াড়ী সাজিয়ে আটক করেছে যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। খবর পেয়ে এলাকার জনসাধারন যোগিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রে এসে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দাবী জানালেও পুলিশ সেদিকে কর্নপাত না করে তড়িঘরি করে বৃদ্ধদের তদন্ত কেন্দ্র থেকে থানায় নিয়ে আসে। পরে জনপ্রতিনিধি সহ এলাকাবাসী বাগমারা থানায় এসেও নিরীহ বৃদ্ধদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওসিকে অনুরোধ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।
পরে আটককৃতদের সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,রোববার ( ৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় একটি কুচক্রী মহল টহল পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে যোগীপাড়া ইউনিয়নের ভাতঘরপাড়া বাজারে আবদুল খালেক নামের এক চায়ের দোকানে নিয়ে আসে। এ সময় বেশ কয়েকজন বৃদ্ধ ওই দোকানে চা পান করছিলেন।
ওই কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় পুলিশের দলটি ওই দোকানে হানা দিয়ে সন্দেহমূলক ভাবে ৬ বৃদ্ধকে আটক করে। আটকৃতরা হলেন, নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের সাজেদুর রহমান (৫০), বাগমারা উপজেলার ভাতঘরপাড়া গ্রামের নবীর উদ্দীন (৬৫), একই গ্রামের মোজাম্মেল হক (৬৮), আফজাল হোসেন (৬০), আক্কাছ আলী (৪৫) ও বুলবুল আহম্মেদ বুলু (৬৮)। গ্রামাবাসীরা জানান্,আটককৃতরা এলাকার নিরীহ ও বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি। প্রতিদিন তারা সন্ধ্যার পর কাজ কাম শেষে ওই দোকানে চা পান করতে আসে। গ্রামের একটি প্রতিপক্ষ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে জুয়ার নাটক সাজিয়ে তাদের ফাসিয়ে দেয়। স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, আমরাএলাকাবাসী কোন দিনও তাদেরকে তাস খেলতে দেখিনি। তারা ওই দোকানে চা পান ও দোকানের টেলিভিশন দেখে সময় কাটায়। স্থানীয় আরেক জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, আটককৃতরা সবাই আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। তারা বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় এলাকাবাসী তাদেরকে সম্মানের চোখে দেখে থাকেন। এমন ঘটনায় হতবাগ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের পর তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।