কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পরিবার পরিকল্পনা ও মেডিক্যাল কর্মকর্তা ফারজানা হক দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি কর্মস্থলে না থেকেও কিভাবে বিল ও সহি দিয়ে কার্যালয়টি চালাচ্ছেন এ নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। জানাযায় তিনি বাজিতপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে মাসের পর মাস জন্ম নিয়ন্ত্রণে ভূয়া পদ্ধতি গ্রহণকারী দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ লুটপাট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া তিনি বাজিতপুর উপজেলা থেকে বদলী হয়ে যাওয়া আরেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্বাক্ষর জাল করে এসব অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। অথচ স্থায়ী পদ্ধতির একজন গ্রহিতার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ৪ হাজার টাকা। কিন্তু বে-সরকারী ক্লিনিক অথবা যেসব মহিলা সিজারিয়ান লাইগেসন করেন, তাদের নিকট থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করে সেই সব ছাড়পত্র দিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে যাচ্ছেন বলে অভিজ্ঞ মহলের মন্তব্য। ডা. ফারজানা হক প্রায় সময়ই ঢাকাই বসে অফিস করেন। কিন্তু মাসে ৩/৪ দিন আসেন কিনা এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে কোন কার্যক্রম নেই দীর্ঘদিন ধরে। এটি বন্ধ রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। অথচ বন্ধ কেন্দ্রটির কার্যক্রম দেখিয়ে তিনি সরকারী হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এব্যপারে বিভাগীয় পরিচালক শরিফুল ইসলাম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক মোঃ খাইরুল আমিন বলেন, বিষয়টি আমি অনুধাবন করছি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত বাজিতপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. ফারজানা হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সপ্তাহে অন্তত ১ থেকে ২ দিন অফিস করেন বলে উল্লেখ করেন।