চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের চড়ুইল বিলের শতশত একর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি প্রবেশ করায় বিল এলাকার প্রায় পৌণে তিনশ একর জমির ধান নিমজ্জিত হবার উপক্রম হয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ বাঁধ কমিটি ও বিল ইজারাদারদের যোগসাজশে স্লুইসগেট খুলে জমিতে পানি প্রবেশ করেছেন। তবে পাবদামাড়ী চড়ুইল বিল বাঁধ কমিটি ও ইজারাদার তা অস্বীকার করেছেন।
বিল এলাকার কৃষক ও সাবেক সেনা সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, সীমান্ত ঘেষা আলিনগর ইউনিয়নের চড়ুইল বিল এলাকার শতশত একর জমি কৃষকরা ধান চাষাবাদ করে থাকে। কয়েকদিন আগে বিল ইজারাদার ও বাঁধ কমিটি এক হয়ে রাতের আঁধারে স্লুইসগেটের ৪ টি দরজা খুলে দেয়। এতে বিভিন্ন কৃষকের লাগান ধানসহ তাঁর ৯ বিঘা জমির ধান পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কয়েকদিন পর ওই জমিতে পাকা ধান কাটতে যাওয়া হত। কিন্তু তাঁদের কারণে সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এদিকে ডুবে যাওয়ার জমিতে অনেক কৃষক মাছ শিকার করতে গেলে ইজারাদাররা ধরতে দিচ্ছে না। অপমানকর আচরণ করছে।
অপর কৃষক তোফিজুল ইসলাম বলেন,বন্যার পানিতে তাঁদের ধান প্লাবিত হয়নি। জমিতে প্রবেশ করার মত পানি আসার উপক্রম হয়নি। ওই এলাকায় কৃষকদের জন্য সরকার ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বন্যা রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছে।কিন্তু বাঁধ কমিটি ইজারাদারকে সহায়তা করতে স্লুইসগেট খুলে দিয়ে তাঁদের জমির সব ধান পানিতে নিমজ্জিত করেছে। তাই তাঁরা বিল ইজারাদার ও বাঁধ কমিটির কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
আলিনগর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য রাশেদা খাতুন বলেন, আলীনগর ইউনিয়নের ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের চড়ুইল বিলে প্রতিবছর বাঁধ কমিটি মাছ চাষের জন্য স্লুইসগেট খুলে দিয়ে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দিচ্ছে। কিন্তু এটা আর হতে দেয়া যাবে না। অসহায় কৃষকদের কান্না আমাদের ব্যথিত করছে। তাই এর একটি সমাধান হওয়ার দরকার বলে আমি মনে করি।
বিল ইজারাদার একাংশের মালিক আবীর আলী জানান, ওই বিলের স্লুইসগেটের ভার্টিক্যাল গেট খোলার বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। আর বিলে পানি জমা হয়েছে বর্ষার পানিতে।
অপরদিকে পাবদামাড়ী চড়ুইল বিল বাঁধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূর নবী জানান, সুইচগেট দেখার জন্য আমাদের পাহারাদার রয়েছে।আর ভার্টিক্যাল গেট খোলা হয়নি। কৃষকরা যদি এ ধরনের অভিযোগ করে থাকে তবে তারা মিথ্যা বলেছে। আলীনগর ইউনিয়ন ও ভারতের ভিতরের আষাঢ় মাসের বৃষ্টির পানিতে এমনটি হয়েছে।