বগুড়ার গাবতলীতে ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাট ও লুন্ঠিত স্বর্নালংকার উদ্ধার করায় ৮ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় জেলার শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সেপেক্টর(এস আই) পুরস্কার পেয়েছেন মোঃ শামীম আহমেদ (নিঃ)। গাবতলী উপজেলার কাগইল বাজারে অবস্থিত আমিন জুয়েলার্স এর মালিক এনামুল হক মিঠু বাদী মামলার হয়ে এজাহাওে উল্লেখ করেছিলেন, প্রতিদিনের ন্যায় বেচাকেনা করে চলতি ২০২১ সালের ১৬ জুলাই রাত ৮ টায় জুয়েলার্স বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। পরদিন সকালে এসে দোকান খুলে দেখতে পায়, দোকান ঘরের উপরে টিনের চালাকেটে চোরেরা ভেতরে প্রবেশ করে আলমিরা ভেঙ্গে বিভিন্ন প্রকার ১২ ভরি স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ১ আগস্ট থানায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম’র দিকনির্দেশনায় ও গাবতলী মডেল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়া লতিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শামীম আহম্মেদ, সঙ্গীয় এস আই ইফতেখায়রুল ইসলাম, আলহাজ উদ্দীন, এএসআই কাজেম আলী, রেজেক আলী, মিলন মিয়াসহ অন্যান্য ফোর্স কাগইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লুলেস এই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি বুজরুক কাগইল গ্রামের সাহিদুল ইসলামের ছেলে সাদেকুল ইসলাম (৩৫)কে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে, জুয়েলার্সে চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরদিন ২ আগস্ট আসামি সাদেকুল ইসলামকে নিয়ে তার দেয়া তথ্য মোতাবেক চুরি করা স্বর্নালংকার বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে একটি কড়ই গ্রাছের নিচে কাঁদা মাটির নিচে লুকানো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় স্বর্নালংকার উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এই ক্লুলেস মামলা অগ্রগতি ও চুরিকৃত স্বর্নালংকার উদ্ধার হওয়ায় ৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এ- কলেজ কনফারেন্স রোমে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় জেলার শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সেপেক্টর (এস আই) মোঃ শামীম আহমেদ (নিঃ)কে পুরস্কৃত করা হয়। তাকে সম্মনানা ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম। এ সময় জেলার সকল পুলিশ অফিসারগন উপস্থিত ছিলেন।