দিঘলিয়ার সেনহাটি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দি দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দিঘলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,দিঘলিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন নৌকা প্রতীকে একজনের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী একাধিক। সেনহাটি ইউনিয়নে গতকাল দুপুরে দুই প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ফারহানা নাজনীন (নৌকা প্রতীক) ও গাজী জিয়াউর রহমান ( স্বতন্ত্র প্রতীক আনারস) গণসংযোগ করা কালে সেনহাটি পুলিশ ফাঁড়ির নিকট মোড়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটিকাটির একপর্যায়ে সংঘর্য বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো (১) মল্লিক মিজানুর রহমান (৩২), বাবু গাজী (২৭), মনিরুল গাজী(৩২), আজিজুর(৩৫), হিটলার(৩৩) ও মুনছুর (৫০)। এ সংঘর্ষের জন্য ফারহানা নাজনীন (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী জিয়াউর রহমান ( আনারস) এ ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন। সংবাদ পেয়ে তৎক্ষনাৎ এডিশনাল এসপি সুশান্ত, দিঘলিয়া থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ আহসান উল্লাহ চৌধুরী, ওসি তদন্ত রিপন কুমার সরকার, সেনহাটি পলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই সঞ্জিত সাহাসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে আহতদের মধ্যে ২ জন বাবু গাজী ও মনিরুল গাজী বিএনপির সক্রীয় কর্মী এবং বাবু গাজীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ এলাকায় তৎপর থাকতে দেখা গেছে।