কিশোরগঞ্জে সবজি-মশলার চাষাবাদে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান। বসতবাড়ির আঙিনার পাশাপাশি অনাবাদি ও পতিত জমিতেও এই বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। পুষ্টি বাগান গড়ে তুলতে কৃষক কৃষাণীদেরকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
সদরে প্রকল্পটি ব্যাপক পরিচিতি হিসেবে গড়ে তোলতে রোববার কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হল রুমে ২দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প এর আওতায় সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের আয়োজনে সদরের ৩০ জন কৃষক কৃষাণীদের এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং বিভাগের উপপরিচালক (বাস্তবায়ন) এস এম সোহরাব উদ্দিন। প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রওশন আরা বেগম, শোলাকিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যান তত্ত্ববিদ মোঃ আঃ সালাম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (উদ্ভিত সংরক্ষণ) আবুল হাশেম প্রমুখ।
প্রশিক্ষণে জানানো হয় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে অনাবাদি, পতিত ও বসতবাড়ির অব্যবহৃত জমি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এতে একদিকে পারিবারিক পুুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে,অন্যদিকে মশলা জাতীয় ফসলেরও উৎপাদন হবে। পারিবারিক পুষ্টি বাগানের যাবতীয় ব্যয় সরকারের তরফ থেকে বহন করা হচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হবে বলে প্রশিক্ষকবৃন্দ জানিয়েছেন।
প্রশিক্ষণার্থী আমিনুল হক সাদী বলেন,কৃষিবান্ধব সরকারের এ প্রকল্পটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কৃষক কৃষাণীদেরকে প্রশিক্ষিত করে প্রয়োজনীয় বীজ সহায়তা দিচ্ছে। পারিবারিক পুষ্টি বাগানের এ উদ্যোগটি প্রশংসনীয়।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, গত অর্থ বছর থেকে কিশোরগঞ্জে এ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সদরে আদর্শ পুষ্টি বাগান গড়ে তুলতে কৃষক কৃষাণীদেরকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও বীজ সহায়তা প্রদান করা হয়।
প্রশিক্ষশেষে প্রশিক্ষাণার্থীদেরকে বিভিন্ন জাতের বীজ প্রদান করা হয়েছে।