সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের ভোট কারচুপির বিস্তার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে দুইশ’ ব্যালট পেপারের মুরিপত্র উদ্ধারের ঘটনায়। অবশেষে এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র বাঘমারা-বড়দুলালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। মঙ্গলবার সকালে তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ইউপি নির্বাচনের আড়াই মাস পর বিদ্যালয়ের আলমিরা থেকে ব্যালটের মুড়িপত্র উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়। কমিটিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে আহবায়ক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল জলিলকে সদস্য সচিব ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল বাসারকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের আলমিরায় কলম খুঁজতে গিয়ে দুইশ’ ব্যালট পেপারের মুরিপত্র খুঁজে পায় স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী মিন্টু বয়াতী। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। ওই ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী খায়রুল আহসান ও পরাজিত সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী শিপ্রা রানী দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ করে আসছিলেন, রিটানিং ও প্রিসাইডিং অফিসারের যোগসাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভোট কারচুপির মাধ্যমে তাদের পরাজিত করা হয়েছে। তারা আরও বলেন, ব্যালট পেপারের মুরিপত্র উদ্ধারের মধ্যদিয়ে তাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন। অন্যথায় তারা উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন বলেও উল্লেখ করেন।