দেশের যে কোন সংকট মুহুর্তে হোক সে বন্যা, সাইক্লোন কিংবা ঘূর্নিঝড় আমাদের তরুণ ও যুবসমাজ প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে সেবামূলক কাজে লাফিয়ে পড়ে। উন্নয়নমূলক কাজ, কল্যাণমূলক কাজ, ইতিবাচক কাজ করার জন্য তারা সবসময় মুখিয়ে থাকে। আমাদের মহান ভাষা সংগ্রাম, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের দিকে তাকালেও এই বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় সুস্পষ্টভাবে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির জন্মের পরপরই বাংলা ভাষার প্রতি আঘাত আসে। বাঙালির মায়ের ভাষা কেড়ে নিয়ে তাদের ওপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালানো হয়। এই অপচেষ্টার কৌশল হিসেবে বাংলা বর্ণমালাকে কখনো আরবি আবার কখনো রোমান হরফে লেখার প্রস্তাব করা হয়। বাঙালিরা, বিশেষকরে তরুণ ও যুব ছাত্রসমাজ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে। আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা উপস্থাপন করলে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা ‘নো’ ‘নো’ বলে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করে। আলী জিন্নাহ অবশ্য এরপর যতদিন বেঁচে ছিলেন ভাষার ব্যাপারে আর কোন কথা বলেননি।
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পরবর্তীতে এই তরুণ যুবকরাই জীবন উৎসর্গ করেছিল। তাদের তাজা রক্তে রাজপথ হয়েছিল রঞ্জিত। ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার জন্য যুব ছাত্রসমাজের তুমুল প্রতিবাদ ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে মূলত বাঙালির ভেতর জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে। এই আন্দোলন পরবর্তীতে সংঘটিত সমস্ত আন্দোলনের প্রেরণা ও শক্তি হিসেবে কাজ করে। নিজ অধিকার আদায়ে তরুণ ও যুব ছাত্রসমাজ হয়ে উঠে সোচ্চার। অন্যায়, অনিয়ম, বঞ্চনার বিরুদ্ধে তারা হয়ে উঠে বজ্রকন্ঠ। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয়দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, এবং ৭১ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে তারাই ছিল সম্মুখ যোদ্ধা।
দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য তরুণ ও যুবকদের প্রচেষ্টা স্বাধীনতার পূর্বে যেমন ছিল, স্বাধীনতার পরও তাদের সেই প্রচেষ্টায় কোন ভাঁটা পড়েনি। কোন মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপারটা নিয়ে কেউ সাহায্যের আবেদন করতে না করতেই ছুটে আসে তরুণ যুবকরা। কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত, টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না, তরুণ-যুবকরাই নানা কর্মসূচি হাতে নিয়ে, দৌড়ঝাঁপ করার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় গভীর আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসার টাকা তোলার ব্যবস্থা করে। তরুণ-যুবকদেরকেই দেখা যায় এক টাকায় অসহায় পথশিশুদের আহারের ব্যবস্থা করে।
বিশ্ববিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয় বলেছিলেন, ‘মানুষের কল্যাণের জন্য তিল তিল করে নিজের হৃদয়কে প্রস্তুত করতে হবে। তাহলে দেখবে জাতির সবচেয়ে সৎকর্মময় মুহুর্তে তুমি সবচেয়ে বেশি কল্যাণ সাধনে সক্ষম হয়েছ।‘ আমাদের তরুণ-যুবকরা তলস্তয়ের এই বাণী সম্পর্কে হয়তো অবগত নয়, কিন্তু তলস্তয়ের বাণীকে সত্য প্রমাণিত করে জাতির কঠিন মুহূর্তগুলোতে তারাই ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হয়। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য তাদের হৃদয় যেন সদা প্রস্তুত। কিন্তু তারা সবসময় কাজ করার একটা প্লাটফর্ম পায় না। অনেক তরুণ-যুবক মানব কল্যাণে, সমাজের কল্যাণে কাজ করার তাড়না অনুভব করে ভেতরে ভেতরে কিন্তু সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে না পেরে কাজ করতে পারে না।
আমাদের দেশে সাধারণত একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়ে ‘সেচ্ছাসেবী সংগঠন’ বিষয়টার সঙ্গে পরিচিত হয়। বর্তমানে সমাজের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে এই সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও একজন শিক্ষার্থীর এসবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ মেলে অনার্স, ডিগ্রি কিংবা সমমান ডিগ্রি অর্জনের সময়। সত্যি বলতে এই সাংগঠনিক কাজগুলো আরো পূর্বে অন্তত কলেজ পর্যায় থেকে হওয়া জরুরি। কারণ সেটা আমাদের সামাজিক প্রগতির পাশাপাশি তরুণ সমাজে সম্প্রীতির নিশ্চয়তা দানে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
স্বেচ্ছাসেবার ধারণা শিশু-কিশোরদের মনে বিদ্যালয় থেকেই বপন করে দেয়া উচিত। বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে উৎসাহিত করলে প্রথম থেকেই সবার মধ্যে সঠিক মনুষত্ব্যের বিকাশ ঘটবে। পরবর্তীকালে তাদের দ্বারা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক কল্যাণ সাধিত হবে। তাই সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বার্থে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বাইরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ধরনের সামাজিক সংগঠনে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। 'মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য' এই বোধটুকু ছাত্রজীবনে তৈরি করার জন্য সেচ্ছাসেবী সংগঠনই সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম।
সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সংগঠনের মৌল বিষয়গুলোকে ভিত্তি করেই পরিচালিত হয়। তাতে গঠনতন্ত্র, পরিচালনা পর্ষদ এবং নিয়ম-নীতিসহ কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয় থাকে। প্রাকৃতিক দুর্বিপাকে মানুষ যখন বিধ্বস্ত তখন তাদেরকে সেবার কোমল হাত প্রসারিত করে দেয় সেচ্ছাসেবীরা। বন্যার্ত, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত, দুর্ভিক্ষপীড়িত, শীতার্তদের সেবায় তারা গড়ে তুলে সাহায্য তহবিল। আর সে ভা-ার পূর্ণ করার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে পারে শিক্ষার্থীরা। রক্তদানের মধ্য দিয়ে তারা মৃতপ্রায় রোগীকে দেয় বাঁচার অনুপ্রেরণা। বৃক্ষরোপণে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করে পরিবেশের ভারসাম্য। গ্রামের অবাঞ্ছিত জঙ্গল পরিষ্কার করেও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। এগুলো একজন শিক্ষার্থীকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বাস্তব জ্ঞান যেমন দিতে পারে আবার টিমওয়ার্ক বিষয়টির সঙ্গেও তাকে পরিচিত করায়। এই টিমওয়ার্ক ধারণা আবার সমাজে সম্প্রীতির নিশ্চয়তা আনতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া উৎপাদনশীলতা বাড়ানো কিংবা দক্ষ ব্যবস্থাপনা তৈরি করার জন্য টিমওয়ার্ক শিক্ষা প্রয়োজনীয়।
সেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার চিরচেনা গ-ির বাইরে গিয়ে আরো অনেকের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়। এতে করে তার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন একজন শিক্ষার্থীকে অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি এমন একটি জগতের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেয় যেখান থেকে সমাজকে পাঠ করার প্রত্যক্ষ ও যুগোপযোগী পথটা সে পেয়ে যায়। টিমওয়ার্কে কাজ করতে গিয়ে তার মধ্যে সহিষ্ণুতার গুণও তৈরি হয়। এতে শিক্ষাজীবনেই সে সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ার উপায় শিখে যায়। সেচ্ছাসেবী সংগঠন একটি প্লাটফর্ম হিসেবে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক ভাব ও মত-বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করে।
নির্দ্বিধায় বলা যায় একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ভূমিকা অভিনব এবং তাৎপর্যপূর্ণ। পুরাতন আর মিথ্যাকে মুছে ফেলে, প্রাচীন সংস্কার ও গোঁড়ামিকে ঝেড়ে ফেলে একটি শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের হাতেই। তাদের সুন্দর মনন ও সুকুমার বৃত্তি প্রকাশের মাধ্যমে সমাজের পঙ্কিলতা দূর করতে পারে। বিশ্ব মানবতা এবং মানবিকতার বিজয় পতাকা তাদেরই হাতে। সেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে চিরবঞ্চিত, বুভুক্ষ, অনাহরক্লিষ্ট মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তারা শোনাতে পারে সান্ত¡নার বাণী। আশাহত বুকে জাগাতে পারে আশা। হৃদয়ে জাগাতে পারে প্রাণের স্পন্দন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ুয়া বগুড়ার মাসুমা মরিয়ম যুব উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকার জন্য সম্প্রতি ভারতের ‘কালাম ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ সম্মাননা পেয়েছেন। মাসুমা শৈশব থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করার স্বপ্ন দেখতো। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের নিয়ে কাজ করার খুব ইচ্ছে তার। তার ভেতর এই সুন্দর স্বপ্নের বীজটা রোপিত হওয়ার পেছনে অবশ্য তার পরিবারের ভূমিকাই মুখ্য।
মাসুমা শৈশব থেকেই তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখেতো। সেই অভিজ্ঞতা বা পারিবারিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই সে যুক্ত হয় কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে। কিন্তু সামাজিক এসব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর সে উপলব্ধি করতে পারে যে ওগুলোর বেশিরভাগই মূলত রাজধানী কেন্দ্রিক। তারুণ্যের ইচ্ছা, সম্ভাবনা, কাজের সুযোগ, যোগ্যতা, নতুন কিছু করার ভাবনার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে মাসুমা তাই ২০১৫ সালে নিজের জন্মস্থান বগুড়ার শেরপুরে ‘স্বপ্ন ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ নামে একটি সংগঠন শুরু করে। ২০১৮ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিবন্ধন পায় সংগঠনটি।
শুরু থেকেই তরুণ-তরুণীদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও ক্যাম্পেইনের আয়োজনের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন প্রশিক্ষণে স্থানীয় যুবকদের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে এই সংগঠন। যুব সমাজকে দক্ষ ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ, পাখি ও পশুপালন প্রশিক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক কর্মশালা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ নানারকম আয়োজন করেন তারা। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ‘সাইকোলজিক্যাল ফার্স্ট এইড ট্রেনিং’, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে ‘রাইট টু ফাইট অ্যাগেইনস্ট হ্যারাসমেন্ট’, করোনা দুর্যোগে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ক্যাম্পেইন ‘হাউ আর ইউ, রিয়েলি?’ ক্যাম্পিংয়ের আয়োজন ছাড়াও সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি মাসে গ্রাফিকস ডিজাইন, ই-মেইল যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় এই সংগঠন।
বর্তমানে ৭ জন কার্যকরী সদস্য এবং ২০ জন সাধারণ সদস্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬২ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ২৬ জন ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর নিয়ে কাজ করছে ‘স্বপ্ন ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’। সংগঠনটির কর্ণধার মাসুমা মরিয়ম গত বছর ‘কালাম ইয়ুথ লিডারশিপ কনফারেন্স-২০২০’ এ সেরা বক্তার পুরস্কারও পেয়েছিল। এ ছাড়া সামাজিক ও যুব উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় ‘ন্যাশনাল ইয়ুথ আইকন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’, ‘আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাজ আ ফ্রন্টলাইন ফাইটার ডিউরিং কোভিড-১৯’, ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ সম্মাননা রয়েছে সমাজকর্মী মাসুমার ঝুলিতে।
মাসুমা মরিয়মের এই প্রাপ্তি আমাদের জন্য সত্যি অনেক আনন্দের। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য যেমন সে ব্যস্ত ছিল না, তেমনি পুরস্কারের প্রতিও ছিল না তার কোন লোভ। পুরস্কারের পেছনে সে ছুটেনি, পুরস্কার স্বেচ্ছায় তাকে ধরা দিয়েছে। এটা হলো ভাল কাজের বোনাস প্রাপ্তি। মানুষের কল্যাণে কাজ করাই হলো মাসুমার ব্রত। তার এই উদ্যোগ, তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের গল্প হাজারো স্বপ্নদ্রষ্টার প্রেরণা হয়ে কাজ করবে। একটা বিষয় লক্ষণীয় যে মাসুমা যদি এককভাবে পথ চলতো তাহল এত বৃহত্তর মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারতো না। একক প্রচেষ্টার চেয়ে সামষ্টিক প্রচেষ্টার গুরুত্ব বেশি। এজন্য আমাদের সরকারকেও এ বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। সরকার যুব উন্নয়নে ইতোমধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। এটি প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু আমাদের তরুণ ও যুবকদের ভেতর যে একটা সুন্দর সহানুভূতিশীল মন আছে সেটাকে জনকল্যাণে কাজে লাগানোর জন্য তাদেরকে সাহায্য করতে হবে। বিদ্যালয়জীবন থেকেই তারা যাতে সংগঠনের জ্ঞান অর্জন করে সেদিকে জোর দিতে হবে।
তাহসিনুল ইসলাম : কথাশিল্পী