রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দূর্গম ৪নং বড়থলি ইউনিয়নে ফের করোনা গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে হেলিকপ্টার করে গেলেন বিলাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ এলাকার হেলিপ্যাড হতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশ্মি চাকমার নেতৃত্বে ৫জন স্বাস্থ্য কর্মী দ্বিতীয় পর্যায়ে এই গণটিকা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
এসময় বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত মাসের ১০ আগস্ট রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ উদ্যোগে আমরা দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নে গণটিকাদান কার্যক্রম সফল করি। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার আমরা ঐ এলাকায় গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরোও জানান, গণটিকার প্রথম ডোজ গ্রহণে ঐ এলাকার জনগণের যে উচ্ছ্বাস সেই দিন আমরা দেখেছি, তা আমাদেরকে আরোও বেশী অনু প্রাণিত করেছে।
বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রশ্মি চাকমা জানান, গত ১০ আগস্ট আমরা দূর্গম এই এলাকায় ২শত ৯২ জনকে সিনোফার্মার প্রথম ডোজ দিয়েছিলাম। সেই সাথে ঐ দিন স্বাস্থ্য বিভাগ হতে চিকিৎসা সেবা, ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আজও দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নে ২শত ৯২ জনকে টিকা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ট্রাইবেল হেলথ কর্মসূচির আওতায় মোবাইল মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হবে ঐ এলাকায়।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা হতে ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে পায়ে হেঁটে দূর্গম বড়থলি ইউনিয়নে যেতে কমপক্ষে লাগবে ৪ দিন। কারণ সেখানে নেই কোন সড়ক যোগাযোগ। আবার বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার বগালেক হতে পায়ে হেঁটে বড়থলি ইউনিয়নে যেতে লাগে ২ দিনের বেশী।