কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের ৬৬নং শহীদ হেলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই বিদ্যালয়টির ১৯৭০ সনে স্থাপিত হলেও এখনও পর্যন্ত এর কোন উন্নয়ন হয়নি। বিদ্যালয়টি শহরের প্রাণকেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ১৩ জন। শিশু শ্রেণী হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শত ৭৫ জন। প্রত্যেক শ্রেণীর উপরের ছাঁদ দিয়ে পানি পড়ে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে গিয়ে বৃষ্টির সময় অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। দেয়ালের উপর বড় ও ছোট ছোট ফাটল ধরে গেছে, ধসে পড়ছে দেয়ালের পলেস্তরা। ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। কোমল মতি শিক্ষার্থীরার শ্রেণী কক্ষে ক্লাস করতে গিয়ে অনেক সময় ভয়ের মধ্যে থাকেন। প্রতি বছর এই বিদ্যালয় থেকে ১৬ থেকে ২০ জন ৫ম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুল সহ সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মঙ্গলবার অত্র বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৩ সালে সাবেক প্রয়াত এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আসেন। তখন তিনি বলে গিয়েছিলেন, অচিরেই এই বিদ্যালয়টি ৬তলা ভবন হবে বলে আশ্বাস দিয়ে গেলে আজও পর্যন্ত তা বাস্তবে রূপ ধারণ হয়নি বলে অনেক শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামিমআরা বেগম এই প্রতিবেদক কে জানান, এই বিদ্যালয়টি ১০ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা খুব কষ্টে ক্লাস করছেন। একই সঙ্গে শিক্ষকরা ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে গিয়ে আতংকের মধ্যে সবসময় থাকেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন স্থান সংকুলান না থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে গিয়ে শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উপজেলার মধ্যে এই বিদ্যালয়ে পাশের হার শতভাগ। বাজিতপুর উপজেলা শিক্ষা কমকর্তা মোঃ আফজাল হোসেন জানান, ৪তলা ভবনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোরশেদা খাতুন জানান, এই বিষয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে উল্লেখ করেন।