বর্ষণ, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন ও কালভার্টের মুখ বন্ধ কারণে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে
রাজশাহীর চারঘাটে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চলতি বছর উপজেলার এসব জমিতে আবাদ করতে পারছেন না কৃষক।
খোদ কৃষি বিভাগ স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে দুই ও তিন ফসলি এসব জমি অনাবাদি পড়ে থাকার শঙ্কা প্রকাশ করেছে। চলতি মৌসুমে এরইমধ্যে ১ হাজার ৪২০ বিঘা জমিতে আবাদ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে উপজেলার ইউসুফপুর, চামটা, জয়পুর, বামুনদিঘী, নন্দনগাছী, ভাটপাড়া, কৈ ডাঙা, বাসুদেবপুর, ডাকরা, ঝিকড়া, হুজারপাড়া, মোহননগর, পরানপুর এলাকায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নে। অথচ নিমপাড়াতেই আবাদি জমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকার নিচু জমিতে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে জমি চাষের উপযোগী না থাকায় সেখানে আবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। এদিকে এসব জমি থেকে পানি নিস্কাশনেরও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, তিন-চার বছর ধরে বড় বিলের গুলোর মধ্যে অপরিকল্পিত ভাবে অসংখ্য পুকুর খনন করা হয়েছে। বিভিন্ন সেতু ও কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় চলতি মৌসুমে ফসল আবাদ করতে পারছেন না তারা।
স্থানীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের বলেন, বিলের মধ্যে অসংখ্য পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। বিভিন্ন খালও প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে, যার কারণে বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব খাল সংস্কার এবং নদীর সঙ্গে নালা করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা দরকার। তা না হলে যতটুকু আবাদি জমি রয়েছে, সেটুকুও সারা বছর জলাবদ্ধ থাকবে।
চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, জলাবদ্ধতায় উপজেলায় অনে জমি অনাবদী হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতার মূল কারণ অপরিকল্পিত পুকুর খনন। জলাবদ্ধতার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন নয়তো কৃষকরা আরো ক্ষতিগ্রস্থ হবে।