কে এম কামরুল আহসান (৪০) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা উপ সহকারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা বিশ্বাস পাড়া এলাকায়। তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি আসতেন। আবার প্রতি রোববার মোটরসাইকেলে করে ভাঙ্গা যেতেন।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশনের সামনে দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটে।
ফরিদপুর থেকে নিজ মোটরসাইকেলে ভাঙ্গা আসার পথে বালু ভর্তি একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভাঙ্গাগামী বালু ভর্তি একটি ট্রাক কামরুলের মোটরসাইকেলটিকে পিছনের দিক থেকে চাপা দিয়ে সামনের দিকে অন্তত তিনশ ফুট টেনে নিয়ে যায়। পরে চালক ট্রাকটি থামিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত কামরুলকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্ভন্তরের ট্রমাসেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান তিনি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. আবুল বাসার বলেন, সকালে ফরিদপুর থেকে মটরসাইকেল যোগে ভাঙ্গায় কর্মস্থলে আসার সময় ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গাগামী বালু বোঝাই ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-ট-১৬-৮৭৯৯) প্রকৌশলীর মটরসাইকেলকে পিছনের দিক থেকে চাপা দিয়ে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। পরে ট্রাকের নিচ থেকে গুরুতর আহত মোটরসাইকেল আরোহী উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয় কামরুলের। তিনি বলেন, পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মালেক জানান, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আহসান রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান।
কামরুলের চাচা রফিকুল ইসলাম বোয়ালমারী উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বলেন, কামরুল ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা বিশ্বাস পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় কামরুল। কামরুল বিবাহিত এবং তাঁর ১২ বছর বয়সী একটি মেয়ে ও ৮ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।