চট্টগ্রামের সীতাকু- স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। অনেক সময় চিকিৎসা বঞ্চিত এসব রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায়। সীতাকু- স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক নেই, ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই, চিকিৎসকের অনেক পদ আছে কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। অথচ ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে রোগীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে তাদের চিকিৎসার জন্য অপারেশন থিয়েটার এবং ট্রমা সেন্টার না থাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত মানুষেরা চরম হতাশ। জানা যায়, সীতাকু- পৌরসভায় অবস্থিত একমাত্র সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানান ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এ উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ। এ ছাড়া হাসপাতালটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে হওয়ায় এখানে প্রতিদিন সংগঠিত দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগিদের জরুরী চিকিৎসা সেবার জন্য আনা হয়। কিন্তু জরুরী
চিকিৎসা, অপারেশনসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব,ল্যাব টেকনিশিয়ান ও এ্যাম্বুলেন্স চালক না থাকাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অভাবে সাধারণ রোগী ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত ও জরুরী রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে রোগী নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন তাদের স্বজনরা। তারা জানান, সীতাকু- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ¦র-সর্দি-ডায়রিয়া,পেট ব্যাথা,প্রেশার ও ডায়বেটিসসহ প্রায় সবরোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এখানে চিকিৎসা নিতে আসা কোন রোগী একটু গুরুতর হলেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে তাদের সরাসরি চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পদ থাকলেও সব পদে চিকিৎসক না থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব যন্ত্রপাতি ও অপারেশন থিয়েটারসহ জরুরী চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকরা কোন ঝুঁকি নেন না। এখানে চিকিৎসা না পেয়ে চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে ১ ঘন্টার বেশি সময় লাগে, এতে অনেক সময় দূর্ঘটনায় কবলিত রোগী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পথেই বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন,জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে অনেক রোগিকে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়না একথা সত্য। কিন্তু এরপরও যন্ত্রপাতিগুলো ছাড়া যেসব চিকিৎসা এখানে দেওয়া সম্ভব সবগুলোই চিকিৎসা আমরা দিয়ে থাকি। তবে তিনি হাসপাতালের সমস্যা গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন বলেও জানান। তিনি আরও বলেন,অতি অল্প সময়েই বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসার কথা রয়েছে। তবে ট্রমা সেন্টারটি এখানে খুব জরুরী একথা সত্য। একজন সার্জারী বিশেষজ্ঞ ও ট্রমা সেন্টার থাকলে সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত রোগিদেরও সেবা দেওয়া সম্ভব হতো।