বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বলেছেন, দেশের বিশ শতাংশ নারী নির্যাতনের স্বীকার হয় যৌতুকের কারনে। তিনি বলেন, বাবা হয়ে ছেলেকে যখন বিয়ে করান তখন যৌতুক নিতে ভালোবাসেন। আবার একই বাবা মেয়েকে যখন বিয়ে দেন, তখন যৌতুক দিতে চান না। একারনে দেশে নারী নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদেরকে এই অনৈতিক কালসার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সকলকে প্রতিবাদ করতে হবে, সোচ্চার হতে হবে। তিনি বলেন, পাশের বাড়িতে ঝগড়া হচ্ছে আপনি তাদের বাড়িতে আলু, মরিচ, পিয়াজ, লবন, তেল কর্জনেয়ার অজুহাতে তাদের দরজায় ধাক্কা দিবেন। দেখবেন ঐ বাড়ির ঝগড়া বিবাবাদ পারিবারিক কলহ বন্ধ হয়েছে। তাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে পুলিশের দেয়া ট্রিপল নাইন (৯৯৯) এ ফোন দিবেন, সাথে সাথে পুলিশ চলে আসবে। তিনি আরো বলেন, খালু, চাচা, আপনজনদের কাছ থেকে ৪/৫ বছরের শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়স্করা ধর্ষনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। তিনি সকলকে নারী, শিশুসহ সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধ করতে, সচেতন এবং প্রতিরোধ করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বগুড়ার গাবতলী মডেল থানা আয়োজিত নাড়-য়ামালা ইউনিয়ন পরিষদ হলররুমে এস টি ও পি (জি বি ভি) প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটি সচেতনতামুলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন। গাবতলী মডেল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়া লতিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও এস আই (নিঃ) মোছাঃ শাম্মী আক্তারের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহকারি পুলিশ সুপার নন্দীগ্রাম সার্কেল (দায়িত্বরত গাবতলী সার্কেল) মোঃ আহমেদ রাজিউর রহমান, গাবতলী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ জামিরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ রেকসানা আকতার, উপজেলা আ.লীগের যুগ্মম্পাদক মোঃ আবদুল গফুর, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অলিফা খাতুন, নাড়-য়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল গোফফার, প্যানেল চেয়ারম্যান আ’লীগনেতা মোঃ নজরুল ইসলাম বাদশা, নাড়-য়ামালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান সুজা, বন্ধু মহল সংগনের সভাপতি সাদিক, শিক্ষক ওয়াহিদা মাজেদ, ছাত্রী মিতু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গাবতলী মডেল থানার এস আই মোঃ ইফতেখায়রুল ইসলাম, শামিম আহমেদ, রয়েল মিয়া, এএসআই মিলনসহ থানার কর্মকর্তা ও স্টাফবৃন্দ।