ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনে ডাকাতি ও দুইজনের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু ছুরি, মোবাইল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আশরাফুল আলম স্বাধীন, মাকসুদুল হক রিশাদ, মো. হাসান, রুবেল ও মোহাম্মদ।
র্যাব জানায়, ট্রেনে ডাকাতির ঘটনার মুলহোতা আশরাফুল আলম স্বাধীনকে শনিবার রাতে নগরীর শিকারীকান্দা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী অনুযায়ী মাকসুদুল হক রিশাদ, মো. হাসান, রুবেল ও মোহাম্মদকে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, ডাকাতদল ডাকাতির উদ্দেশ্য কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে। পরবর্তী স্টেশন এয়ারপোর্ট, টঙ্গী, গফরগাঁও স্টেশন থেকে আরো কয়েজন সহযোগী তাদের দলে যোগ দেয়। গফরগাঁও স্টেশন পার হওয়ার ডাকাত সদস্য ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ট্রেনের ছাদে ছিনতাই ও ডাকাতি শুরু করে। গত ২৩ সেপ্টেম্বরও ডাকাত দল জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে ছিনতাই ও ডাকাতি শুরু করে। এ সময় ট্রেনের যাত্রী সাগর ও নাহিদ তাদের বাঁধা দেয়। এ সময় ডাকাতদল তাদের এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে মালামাল লুট করে ট্রেনটি ময়মননিংহ স্টেশনের প্রবেশের আগেই নেমে পড়ে। পরে ট্রেনটি জামালপুর স্টেশনে পৌছলে ট্রেন থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়লে ছাঁদ থেকে সাগর, নাহিদ ও রুবেল নামের তিনজনকে উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎক নাহিদ ও সাগরকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নিহত সাগরের মা হনুফা খাতুন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে যাত্রীদের উপর ডাকাত দল হানা দেয় এবং যাত্রীদের সাথে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইল জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এ সময় কয়েকজন যাত্রী বাঁধা দিলে তাদের এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে। এতে দুইজন নিহত ও একজন আহত হয়। ঘটনাটি জামালপুর স্টেশনে ট্রেনটি থামার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।