সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন রোধে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারে বুধবার সকাল ১০ টায় গুঠিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ডাক্তার দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সন্ধ্যা নদীপাড় এলাকার ও স্থানীয় বাজারের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজার সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীরপাড়ে মানববন্ধনে সভাপতিত্বে করেন দাশেরহাট বাজার সভাপতি দুলাল খান। এ সময় বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য হানিফ মোল্লা, শহিদুল ইসলাম, মনির হোসেন, মহিলা ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগম, শাহানাজ পারভীন, বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, রাহাত চৌকদার, জাহিদ হোসেন লালন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সন্ধ্যা নদীর দীর্ঘদিন অব্যাহত ভাঙ্গনে ওই ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পানের বরজ, ফসলী জমি, বসতী বাড়ী, দাশের হাট বাজারের একাংশ সহ প্রায় এক হাজার একর জমি সর্ম্পূণ নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। সরকারী কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থরা বিভিন্ন এলাকায়, আশ্রয়কেন্দ্রে, বেড়িবাধেঁ আশ্রয় নিয়েছে। সবকিছু হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা মানবতার জীবন যাপন করছে। দ্রুত এই ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা না গ্রহন করলে অচিরেই উজিরপুরের মানচিত্র থেকে গুঠিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দাশেরহাট বাজার, হানুয়া, আশোয়ার, বান্না, রৈভদ্রাদী, নিত্যানন্দী, ও কমলাপুর গ্রাম বিলুপ্তি হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে হানুয়া বারপাইকা গ্রাম, আশোয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইকেøান সেন্টার, বড় বাড়ী জামে মসজিদ, হানুয়া মাদ্রাসা, কালীখোলা মন্দির সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কাকরাদাড়ী বেড়িবাধ প্রকল্প, দাসেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমলাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হানুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হানুয়া দাখিল মাদ্রসা, পায়রা বন্দর থেকে কোটালিপাড়া সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি টাওয়ারসহ অসংখ্য বসতবাড়ী হুমকির মুখে রয়েছে। পানি সম্পাদ মন্ত্রনালয় থেকে অতি দ্রুত ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ব্লক ফেলে ভাঙ্গণ রোধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এব্যপারে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন রোধ করতে প্রকল্প তৈরি করে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণলায়ে পাঠানো হয়েছে। অতিদ্রুত বরাদ্দ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এব্যপারে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতী বিশ্বাস বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন-এর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণলায়কে জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ কাজ করবেন।