কসবা পৌরসভার নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসীল অনুযায়ী আগামী দুই নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বুধবার নির্বাচন কমিশন এ তফসীল ঘোষণা করেছেন। সপ্তম ধাপের পৌরসভার নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভাসহ ১০টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে পৌর শহরে দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে আনন্দ উল্লাসের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আমেজ।
পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কসবা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী দুই নভেম্বর। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৯ অক্টোবর, বাছাই ১১ অক্টোবর, মনোনয়ন বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ১৭ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৮৫৬জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৪২৩, মহিলা ভোটার ১৭ হাজার ৪৩২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ একজন রয়েছেন। নির্বাচনী কেন্দ্রের সংখ্যা রয়েছে ১০টি।
এদিকে নির্বাচনে তফসীল ঘোষণার পর গত বুধবার রাতে দলীয় প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে আনন্দ উল্লাশ ও মিষ্টি বিতরণ করেছে। কসবা পৌরসভার বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত হয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এ বছরও তিনি মেয়র পদে নির্বাচনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। এ ছাড়াও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন কসবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম. এ আজিজ এবং বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের নেতা গিয়াস উদ্দিন জামিল।
অরপদিকে কসবা পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন এবং বর্তমান রাজনৈতিক বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংসদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এর ঢাকাস্থ গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও চার যুগ্ম আহবায়কগন ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাসিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী দুই নভেম্বর কসবা পৌরসভার নির্বাচন উৎসব পূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন কমিশন যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। পূর্বের নির্বাচনের অনুযায়ী এ বছরও ১০টি কেন্দ্র থাকবে।