একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পল্লীতে। চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে কৃষকের। প্রায় প্রতিদিন গ্রামের কৃষকের বাড়ি ও গোয়াল ঘরের গরু চুরি হচ্ছে। এমনকি চোরেরা গাভীন গরু চুরি করে বহন করতে না পেরে জবাই করে চামড়া ও বাছুর ফেলে রেখে গোস্ত নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাত জেগে গোয়াল ঘর পাহাড়া দেওয়ায় পল্লী গৃহস্থদের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে। এক সপ্তাহে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে তিনজন কৃষকের ৬টি ও ৫ জনের বাড়ি ও একটি মোবাইল ফোনের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এলাকার লোকজন জানান, উপজেলার পাঁচিয়ারপুর গ্রামের মৃত নুরুল সরকারের ছেলে লুৎফর রহমানের গোয়াল ঘর থেকে কয়েকদিন রাতে ৩টি গরু ও বোনারপাড়া ইউনিয়নের দলদলিয়া গ্রামের এক কৃষকের ৩টি চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। এরমধ্যে দুর্গাপুর গ্রামের মাল্লাপাড়া থেকে চোরেরা একটি গাভীন গরু চুরি করে আলাই নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে জবাই করে চামড়া ও পেটের বাছুর ফেলে রেখে মাংস নিয়ে গেছে।
এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে একই এলাকার এরশাদ মিয়া, রনজিৎ কুমার, প্রভাত চন্দ্র ও সুকুমার চন্দ্রের বাড়ীর বেড়া ভেঙে পানির পাম্প, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। গত সপ্তাহে উপজেলার বোনারপাড়া বাজারের পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে সোনালী ব্যাংক রোডে স্থানীয় ব্যবসায়ী লিমন মিয়ার মাহির টেলিকমের দোকানের টিনের চালা কেটে ২৫টি অ্যানড্রোয়েট মোবাইল ফোন সহ প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।
ভুক্তভোগী দলদলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ জানান, প্রায় প্রতিদিনই এ এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। সপ্তাহের কোনদিন গৃহস্থের গরু, আবার কোন দিন ঘরের বেড়া ভেঙে আসবাবপত্র, মোবাইল ও টাকা পয়সা চুরি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কথা হলে সাঘাটা থানার ওসি মো: মতিয়ুর রহমান জানান, চুরির ঘটনার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে দুটি চুরির মামলায় আসামী ধরাও পড়েছে। চুরি রোধে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে।