নওগাঁয় চুরি ছিনতাই সহ টানাপার্টির দৌড়াত্ব বেড়েছে। চুরি সংক্রান্ত দুচারটি অভিযোগ থানা পর্যন্ত পৌছালেও ছিনতাই ও টানা পার্টির বিষয়ে এখনো থানা পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ করা হয় নি। শহরের বিভিন্ন মহল্লায় উঠতি বয়সের নেশাগ্রস্থ যুবকেরা নেশার টাকা যোগাতে এ সব অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। অধিকাংশ চুরির ঘটনা রাতে ঘটলেও দিনের বেলাতেও তালবদ্ধ বাসা-বাড়ির তালা ভেঙ্গে চুরি হচ্ছে। সন্ধার পর বর্ধিত পৌর এলাকার নির্জন রাস্তায় প্রায়ই নেশাগ্রস্থ যুবকের দল পথচারিদের গতি রোধ করে মোবাইলফোন, টাকা পয়শা ও মূল্যবার জিনিষপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে। অযথা ঝামেলায় জড়ানো মনে করে ভুক্তভোগিরা এ সকল ছিনতাইয়ের কোন অভিযোগ করে না। আব্দুর রশিদ নামে শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার এক বাসিন্দা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি সরকারি কলেজের পশ্চিমপাশের্র্^ বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি একদির রাত সাড়ে আটটায় হাসপাতাল মোড় থেকে নিজ বাসভবনে যাবার পথে সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশের্^ নির্জন সড়কে কয়েবজন ছিনতাইকারির কবলে পরেন। ছিনতাইকারি দল ছুরির মুখে তার একটি মোবাইল ফোন সহ টাকা পয়শা ও হাতের একটি আংটি ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারি দল চলে গেলে তিনি লোক ডাকাডাকি করলেও নির্জন এলাকা ও বৃষ্টির কারণে কেউ এগিয়ে আসে নি। অপরদিকে মোটর সাকেল আরোহি একদল ছিনতাইকারি (টানাপার্টি) প্রায়শই শহরের প্রধান সড়কে অপর মোটর সাইকেল থেকে পেছনের দিকে ঝুলানো ব্যাগটেনে ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পােিলয়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনার স্বীকার ভূক্তভোগিরা নিজ বাড়ি পৌছানোর আগে বিষয়টি বুঝতেও পারেন না। এমনি এক ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ছুটিতে আসা এক র্যাব সদস্যের নজরে এমন একটি ঘটনা নজরে পড়লে তিনি ঝুঁকি নিয়ে ওই টানাপার্টির তিন সদস্য বহন কারি মোটর সাইকেলটি ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। এ সময় মোটর সাইকেল চালক ছাড়া অপর দুই ছিনতাইকারি পালতে সক্ষম হলেও চালককে ধরে ব্যস্ততার কারণে তিনি স্থানীয় দোকানিদের নিকট হস্তান্তর করেন। স্থানীয় দোকানিরা ওই ছিনতাইকারিকে একজন রাজনৈতিক নেতার হাতে তুলে দিলে তিনি চড় থাপ্পর মেরে ওই ছিনতাইকারিকে ছেড়ে দেন। এ ব্যাপারে ওই রাজনৈতিক নেতার কাছ জানতে চাইলে তিনি নিজের পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যার মাল খোয়া গেছে তিনি না জেনেই মোটার সাইকেল নিয়ে চলে গেছেন। এ কারণে অভিযোগকারির অভাবে তিনি ওই ছিনতাইকারিকে ছেড়ে দেন।