মাহিন্দ্রা (থ্রী হুইলার) ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ শ্রমিক কল্যান ফি’র নামে চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে ছয়দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চালকরা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সামনে রাস্তা আটকিয়ে মাহিন্দ্রা ও সিএনজি বন্ধ রেখে ঘন্টাব্যাপী দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ করেছেন শতাধিক মাহিন্দ্রা ও সিএনজি চালকরা।
বিক্ষুব্ধরা জানান, করোনার কারনে তাদের আয় কমে গেছে। তারমধ্যে জেলা ইজিবাইক, আলফা, মাহিন্দ্রা ও সিএনজি’র নামে শ্রমিক ইউনিয়ের শ্রমিদের কল্যান ফি আদায়ের নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। শ্রমিক ইউনিয়ের নামে বছরে পর বছর চাঁদা আদায় করা হলেও করোনাকালীন সময় কোন শ্রমিকরা সংগঠন থেকে এক কেজি চালও দেওয়া হয়নি।
আবুল কালাম নামের এক সিএনজি চালক বলেন, শনিবার সকালে চারজন যাত্রী নিয়ে নথুল্লাবাদ থেকে লঞ্চঘাটে এসেছি। এতে আয় হয়েছে ৪০ টাকা। কিন্তু লঞ্চঘাট আসার সাথে সাথেই বরিশালে মাহিন্দ্রা মিশুক (থ্রী হুইলার) ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ শ্রমিক কল্যান ফি’র ২০ টাকা চাঁদার রিসিভের পরিবর্তে ৩০ টাকা চাঁদার একটি রিসিভ আমার হাতে ধরিয়ে দেয় ইউনিয়নের সদস্য সবুজ।
পরে আমি জানতে চাইলে সবুজ বলেন, এখন থেকে ২০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা চাঁদা নির্ধারন করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা সব শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে ছয় দফা দাবি আদায়ের জন্য গাড়ী চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছি। পরে সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা আমাদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
বিক্ষুব্ধরা আরও জানান, তাদের দাবিগুলো হলো, মালিকদের ছয়শ’ টাকার গাড়ি ভাড়া পাঁচশ’ টাকা করতে হবে। শুক্রবার গাড়ি ভাড়া অর্ধেক নিতে হবে। লঞ্চঘাট থেকে নথুল্লাবাদ পর্যন্ত ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা করতে হবে। জেলা আটোরিক্সা, আলফা, মাহিন্দ্রা ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ের শ্রমিদের কল্যান ফি’র চাঁদা ২০ টাকা করতে হবে এবং সেই টাকা দূর্ঘটনায় আহত হওয়া শ্রমিকদের মাঝে বিতরন করতে হবে। নিদিষ্ট পাকিংয়ের স্থান করতে হবে। শ্রমিকদের বিপদে তাদের পাশে থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে জেলা আটোরিক্স, আলফা, মাহিন্দ্রা ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ের লাইন সম্পাদক শামিম হোসেন বলেন, ২০ টাকার পরির্বতে ৩০ টাকা নেওয়ার কারনে শ্রমিদের সাথে একটু ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিলো। পরে তা সমাধান হয়েছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়গুলো নিয়ে আগামী ২৫ অক্টোবর বসে আলোচনা করা হবে।