জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীতে আজ রবিবার (৩ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে ২২ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় সারা দেশে ইলিশ আহরন, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইলিশ মাছের প্রজনন অবাধ করার লক্ষ্যে মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী মৎস্য অধিদপ্তরের ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের জেল-জরিমানাসহ বিভিন্ন দ-ের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন টাস্কফোর্স ওই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেন। র্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ড এ কাজে সহায়তা করছে।
মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক উপজেলা টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর প্রজনন মৌসুমে ২২দিন ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীসহ উপকূলীয় এলাকার চারটি ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার এ সময়ে সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ মৌলভীর চর, ঢালচর, সৈয়দ আওলিয়া ও লতা চাপালি পয়েন্ট এলাকার আশপাশে নদীতে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে ডিম ছাড়ার জন্য আসে।
উপজেলা টাস্কফোর্সের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন জানান, উপজেলার মেঘনা নদীর এলাকায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ইলিশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাছ ঘাট ও জেলে পল্লীতে শোভাযাত্রা ও সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে এবং লিপলেট, পোস্টার ও মাইকের মাধ্যমে এলাকায় প্রচার- প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, বিনিময় ও মজুত প্রতিরোধ এবং উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করাসহ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি রামগতি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যাবস্থাপক মো. রেজাউল করিম জানান, এ সময়ে অসাধু জেলে ও মাছ ব্যাবসায়ীদের বরফ গ্রহন প্রতিরোধে জেলা ট্রাস্কফোর্সের সিন্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে রামগতি ও কমলনগরের অন্তত ৪০টি বরফ কলের বিদ্যুুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।