বাংলার খাল-বিল জুড়ে একসময় দেখা যেতো লাল শাপলা। সৈন্দর্যে অতুলনীয় লাল শাপলা প্রকৃতিপ্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতো। লাল শাপলার বাহারি রুপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যেতো। লাল শাপলা বা রক্ত কমল হলো শাপলা পরিবারের জলজ উদ্ভিদ। পাতা ও বোঁটা লালচে সবুজ। রাতে ফোটে। গোলাকার ফলে অনেকগুলো ছোটো ছোটো বীজ হয়। এই বীজ খাওয়া যায়।
বর্ষার শুরু থেকেই পাবনার বেড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের খাল বিলে প্রচুর লাল শাপলা চোখে পরতো। বাড়তি জনবসতির চাপে পুকুর ভরাট, মাছের ঘের তৈরি ইত্যাদি কারণে লাল শাপলার আবাস কমে আসছে। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে প্রায় চার মাস এই ফুল ফুটতে দেখা যায়। বাংলার বিল-ঝিল জলাশয় ও নিচু জমিতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় লাল শাপলা। একসময় শাপলা মানুষের খাদ্যতালিকায় সবজি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। গ্রামাঞ্চলের মাঠ,জলাশয়,ডোবা-নালা,পুকুরগুলোতে বৈশাখ মাসে পানিতে ভরে যায়। এরপর তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে এসব জলাশয়ে ভরে যেতো সবুজ পাতা ও লাল শাপলায়। নয়নাভিরাম এসব দৃশ্য উপভোগ করতো সব বয়সী মানুষ। হারিয়ে গেলেও এখনও প্রত্যন্ত অঞ্চলের খালে বিলে ফুটে আছে নয়নাভিরাম লাল শাপলা। ওইসব লাল শাপলার বিলে এখনো ছুটে যায় প্রকৃতিপ্রেমীরা। জানা যায়, তিন প্রকারের শাপলা রয়েছে। সাদা,লাল ও হলুদ শাপলা। ওষুধি গুণ ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই শাপলা মানুষের খাদ্য হিসেবেও জনপ্রিয়।