ভোরের প্রকৃতিতে এখন হিমের নৈনিতাল হাওয়া। শীতের আগমনী বার্তার সাথে নতুন আবহ তৈরী করেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরা যার যার মতো করে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। উপজেলা আওয়ামী লীগ ২৯ সেপ্টেম্বর বর্ধিত সভা করে এ বিষয়ে কথা বলেছে। সর্বশেষ ইউনিয়ন নির্বাচনে বারহাল ও মানিকপুর ইউনিয়ন ছাড়া বাকী ৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন।
জকিগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন
১ নং বারহাল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জামায়াত সমর্থক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, নৌকার মাঝি হতে চান সাবেক চেয়ারম্যান তালুকদার মিছবাহ জামান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুহিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হামিদ চৌধুরী, ইউপি সদস্য সুমন আহমদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম সুহেল,ডা.ওয়াহিদুর রহমান সাদ্দাম,হাসান আহমদ চৌধুরী। বিএনপির বুরহান উদ্দিন রনি, তোফায়েল আহমদ চৌধুরী,, খেলাফত মজলিসের মাওলানা জয়নুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মুক্তাউর রহমান চৌধুরী(চুনু মিয়া),মোয়ান্নিফ হক চৌধুরী সেকুল প্রমুখের নাম শুনা যাচ্ছে।
২ নং বীরশ্রী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস সালাম চৌধুরী পানু,
আওয়ামীলীগের প্রার্থী হতে চান সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার, আবদুর রাজ্জাক বনুকা, মো. ফয়জুল হক, সিলেট মহানগার শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মনসুরী, জাপার লুৎফুর রহমান, আবদুল আজিজ সিরাজী, ফারুক আহমদ প্রার্থী হতে পারেন।
৩ নং কাজলসার ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের জুলকারনাইন লস্কর, সাবেক চেয়ারম্যান আঞ্জুমানে আল ইসলাহর সমর্থক আবদুর রশিদ বাহাদুর,বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, চেরাগ আলী, সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি জহুরুল হক খসরু,স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল গফুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, সহসভাপতি আশরাফুল আম্বিয়া প্রমুখ প্রার্থী হতে পারেন।
৪ নং খলাছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান কবির আহমদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল গফুর, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মাসুক, আব্দুল্লাহ কাপ্পু, জাপার আবদুল হক, ছাত্র মজলিসের সাবেক জেলা সভাপতি আবদুল কাইয়ূম, বিএনপি নেতা আবদুস শহীদ মাসুক প্রার্থী হতে পারেন।
৫ নং জকিগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব আহমদ, আবদুস সবুর, মুহিউদ্দিন, সালেহ আহমদ জালালী, আবদুস সবুর নৌকার প্রার্থী হতে চান। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমদ, সাবেক মেম্বার মাহতাব আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমদ এখানে প্রার্থী হতে পারেন।
৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ চৌধুরী একল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুস সাত্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান, ছাত্রলীঅগ নেতা মাহমুদুল হাসান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন। এ ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান হাজী বুরহান উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল আহ্বায়ক হাসান আহমদ, জাপা জেলা জালল আহমদ, প্রবাসী আনোয়ার হোসেন খান প্রার্থী হতে চান।
।
৭ নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রাথীরা হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু, উপজেলা বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক পরিচালক আখতার হোসেন রাজু, জমিয়তের মাওলানা শিহাব উদ্দিন মাসুম।
৮ নং কসকনকপুর ইউনিয়নে বর্তমান আবদুর রাজ্জাক রিয়াজ, সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন লস্কর, আওয়ামী লীগ নেতা ময়নুল হক, সীমান্তিরকর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই প্রমুখ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাচ্ছেন। সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ হারুন, প্রবাসী সুলেমান লস্কও প্রমুখের নাম শুনা যাচ্ছে।
৯ নং মানিকপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাপার মাহতাব হোসেন চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের আবু জাফর মো. রায়হান, সুরুল ইসলাম চৌধুরী রিলন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির শাহ চৌধুরী হেলাল, চরমোনাই পীরের সমর্থক মাওলানা মো. শিহাব উদ্দিন প্রমূখের নাম শুনা যাচ্ছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জকিগঞ্জের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমদ বলেন, দলীয়ভাবে না হলেও সব ইউনিয়নেই বিএনপির সমর্থকরা মাঠে থাকতে পারে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাদমান সাকিব বলেন, তৃতীয় কিংবা চতুর্থ ধাপে জকিগঞ্জে ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলায় মোট ভোটার ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬শ।