নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের চামটা গ্রামের এক অসহায় বিধবা নিলুফা বেওয়ার (৫২) বাড়ীতে আগুনে সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে দুইটি গরু,একটি ছাগল,সাতটি মূরগীও মারা গেছে। ভস্মিভূত হয়ে গেছে ঘরের সমস্ত মালামাল। এতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে ওই বিধবার। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে। বিধবা ওই গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের স্ত্রী।
বিধবা নিলুফা জানান,প্রায় তিন বছর আগে স্বামী জাকির হোসেন মারা যায়। এরপর থেকে তিনি চরম অসহায় হয়ে পরেন। প্রতিবেশি একজনের নিকট থেকে একটি গাভী বর্গা নিয়ে লালন পালন করে আসছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার তাকে একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। ভাতার টাকা দিয়ে একটি ছাগল,মূরগী কিনে পালন করছেন এবং বাড়ীতেই সামান্য পান-বিড়ি,তেলের দোকান করে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তার এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে বিয়ে করে পৃথক হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। মেয়েকে গ্রামেই বিয়ে দিয়েছেন। এরইমধ্যে রোববার রাতে বাড়ীতে গরু-ছাগল,মূরগী তুলে তালা দিয়ে মেয়ের বাড়ীতে চলে যান নিলুফা। ফজরের নামাজের সময় প্রতিবেশির লোকজন বের হয়ে দেখতে পান বাড়ীতে আগুন জ¦লছে। নিলুফা জানান,তার পড়নে যতটুকু কাপড় আছে এর বাহিরে আর কিছু নেই। প্রায় ৮০/৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভী-বাছুর,একটি ছাগল,মূরগী,কাপড়-চাল,ডাল,আসবাবপত্রসহ সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কি খাবে,কি পড়বে,বাঁকী জীবন কেমনি চলবে এ চিন্তাই যেন দিশেহারা হয়ে পরেছেন অসহায় এই বিধবা। নিলুফার মেয়ে মমতা জানান, গ্রামের কোন লোকজনের সাথে মায়ের কোন শত্রুতা নেই কিন্তু তার পরেও কিভাবে আগুন ধরলো তা বলতে পারছিনা। তবে তিনি সন্দেহ করে বলেন,হয়তো কেউ আগুন ধরে দিয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার তহমিনা বিবি বলেন,নিলুফা খুবই অসহায় মানুষ। তার পরিস্থীতি দেখে বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। ভাতার টাকা এবং গরু,ছাগল,মূরগী লালন পালন করে যা হয় তা দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করে।
রাণীনগর থানর ওসি মো: শাহিন আকন্দ বলেন,খবর পেয়ে সেখানে কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন,এব্যাপারে আবেদন করলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।