গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে গত ২০০৩ সালের নির্বাচনের পর হতে আজ পর্যন্ত এ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। কারণ হিসেবে পলাশবাড়ী পৌরসভায় কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আদালতে মামলার জটিলতার সৃষ্টি হয়। পলাশবাড়ী পৌরসভার প্রথম নির্বাচন সুসম্পন্ন হওয়ায় এ ইউনিয়নে নির্বাচনে আর কোন বাঁধা নেই। আর তাই উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের মত এ ইউনিয়নেও নির্বাচনের হাওয়া বইছে। নির্বাচন উপলক্ষে অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, হাট-বাজার, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অনেকেই ভোটে অংশগ্রহণের প্রত্যাশায় সর্বস্তরের ভোটারদের নিকট তাঁদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে নির্বাচনী পোষ্টার ও ফেস্টুন লাগিয়ে ভোটারদের নিকট দো’আ ও সমর্থন প্রত্যাশা করছেন।
২০০৩ সালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সম্মানিত ভোটারবৃন্দের রায়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো. আমিনুল ইসলাম রিন্টু। তিনি এবারো অত্র ইউনিয়নের সাধারণ নাগরিকসহ তৃণমূল পর্যায়ের সম্মানিত ভোটারবৃন্দের নিকট একজন পরিচিত মানুষ হিসেবে দলীয় ভাবে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী।
উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের হাসানখোর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা চেয়ারম্যান রিন্টু। তিনি লেখাপড়া করাকালীন সময়ে ছাত্রলীগ এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। অত্র ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ মেঘারমোড় নামক স্থানে নিজস্ব বৈঠকখানায় ইউনিয়নের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুদর্শার কথা শুনে সার্বিক সমস্যার সমাধান করে আসছেন।
চেয়ারম্যান রিন্টু বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র ইউনিয়নে চেয়ারম্যান থেকে এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। যতদিন বেঁচে থাকবেন অত্রালাকার জনগনের সেবায় নিয়োজিত থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবেন। দীর্ঘসময় চেয়ারম্যান থাকাকালীন এলাকার সার্বিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এলাকার সাধারণ মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতাসহ যুবসমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তোলা ছাড়াও এলাকায় জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, অত্র ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার যারা প্রথম ভোট দিতে যাচ্ছেন তারা দক্ষ, যোগ্য, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ প্রার্থীকে ভোট দিবেন এটাই তার প্রতাশ্যা।
তিনি আরো বলেন, আমি এখনও চেয়ারম্যান হিসেবে আছি। জনগণের আশা-আকাঙ্খা এবং জনগণের রায় নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ করে আসছি। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ থেকে এখন আওয়ামী লীগ করছি সেহেতু আমি আশা করছি দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। নৌকার মাঝি হিসেবে নির্বাচন করে আবারো বিজয়ী হয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো। যে সকল অসমাপ্ত কাজ আছে তা সমাপ্ত করার চেষ্টা করবো।