আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নে নৌকার হাল ধরতে চান আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান। একটানা প্রায় ৩৭ বছর ধরে কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ১৩৬ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি। আবদুল মান্নান কাশিমপুর ইউনিয়নের মঙ্গল পাড়া গ্রামের মৃত হাজী আবদুল করিম প্রমানিকের ছেলে।
জন্মগত সুত্রে আওয়ামীলীগরে সাথে সম্পৃক্ত জানিয়ে আবদুল মান্নান তার ও তার পারিবারিক জীবনী তুলে ধরে বলেন,তার বাবা একজন ব্যবসায়ী এবং ইউনিয়ন কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।এছাড়া তার বড় ভাই আবদুল কাদের কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, ছেলে ফজলে রাব্বি শুভ নওগাঁ সদর উপজেলা সেচ্ছা সেবক লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং ভাতিজা নিয়ামূল হক নিশাদ নওগাঁ পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউটের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তার স্ত্রী ফেরদৌসী আরা কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগরে মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য নওগাঁ সরকারী কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হয়ে পরিবারের লালিত স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন।কলেজ সংসদ নির্বাচনে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। রক্তাক্ত জনপদ খ্যাত রাণীনগর-আত্রাই সেই দূর্দিনে যখন আওয়ামী লীগ শব্দ মূখে বলার সাহস পেতনা ঠিক তখনও শক্তহাতে দলের হাল ধরে ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ইং সালে কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গত ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৭ বছর ধরে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ১৯৯০সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ নির্বাচনে সাংগঠনিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন। আবদুল মান্নান আরো জানান,বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে রাজনৈতিক আদর্শের কারণে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হন।এছাড়া বিএনপি সরকারের ক্ষমতা আমলে খালেদা হঠাও আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন। চারদলীয় জোট সরকার পতনের আন্দোলনেও সক্রীয় অংশগ্রহণ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন,২০০৮ সালে তিনি সংসদ নির্বাচনে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন। সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনকালে ২০১২ সালে চারদলীয় ঐক্যজোটের ডাকা অবৈধ অবরোধ,পথরোধ করলে তা প্রতিহত করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। এতে মারাত্বকভাবে আহত হলে তাকে মৃত্যু ভেবে ফেলে রেখে যায়,যার মামলা আদালতে চলমান। এরপর প্রায় দুই মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হন। এরপর সংসদ উপ-নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেন। গত ২০১৬ সালের ২৮ শে মে কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ১৩৬ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাণীনগর উপজেলা সদরে সাংবাদিকদের সাথে একান্ত আলাপ-চারিতায় উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন তিনি। সারাজীবন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন এবং আগামীতেও আওয়ামী লীগের আদর্শে অবিচল থেকে কাজ করে যাবেন জানিয়ে আবদুল মান্নান বলেন,আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাশিমপুর ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং সর্বস্তরের জনগনের জনপ্রিয় নৌকা প্রতিক নিয়ে এলাকাবাসীর ইচ্ছায় আবারও নির্বাচন করতে চান তিনি। এজন্য দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংশ্লিষ্ঠদের সু-দৃষ্টি কামনাসহ সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান।