কালিগঞ্জের মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি অথর্ আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। তদন্তে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৮'শ টাকার সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কালিগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার সরেজমিন তদন্ত করেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সীমাহীন আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। মোট ১২ টি সুনির্দিষ্ট প্রকল্প উল্লেখ করে সেগুলোর বিপরীতে বরাদ্দ হওয়া সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির এর নির্দেশে ৪ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম সরেজমিনে তদন্ত করেন। এর মধ্যে ৪ টি প্রকল্প সম্পর্কে অভিযোগের পূর্ণ সত্যতা এবং ২ অভিযোগের আংশিক সত্যতা পান তিনি। তবে ৪ টি প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং ২ টি অভিযোগ নিশ্চিত ভাবে নিরূপন করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব বিষয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন অভিযোগকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম।
মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের নিকট সরকারি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার সত্যতা পাননি। তবে তদন্ত প্রতিবেদন সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ইউএনও সাহেব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন আমি জানি না, আপনারা জানলেন কী ভাবে? আমার কাছে ফোন দিয়েছেন কেন? ইউএনও সাহেবকে ফোন দিয়ে আমার সম্পর্কে যা লেখার লেখেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি।