রাজশাহীর তানোরে সরনজাই ইউপি'র বিতর্কিত চেয়ারম্যান আবদুল মালেককে নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় নাখোশের পাশাপাশি হতাশার মধ্যে পড়েছেন নেতাকর্মি সমর্থকসহ ভোটাররা।
আ' লীগ দলীয় নেতাকর্মি সমর্থকসহ ভোটাররা বলছেন, গত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আবদুল মালেক একের পর এক অনিয়ম ও সমাজবিরোধী কর্মকা- করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।
ভোটাররা বলছেন, জনগনের প্রত্যাশা পুরনের পরিবর্তে চেয়ারম্যান আবদুল মালেক সরকারী প্রকল্পে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। ফলে দলীয় নেতাকর্মি সমর্থকসহ ভোটারদের দুরত্বের কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেকের সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের খবর বিভিন্ন জাতীয় ও আন্চলিক পত্র পত্রিকায় ব্যাপক ভাবে লিখা লেখি হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সরনজাই ডিগ্রী কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান মালেককে প্রধান অতিথি না করায় অধ্যক্ষকে মারপিট করার ঘটনাটি দেশের জাতীয় পত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখি হয়। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে তাররবিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
চেয়ারম্যানের নিজ গ্রাম সিধাইড়ে একটি শালিশ বৈঠকে এক যুবককে জুতা পেটা ও থুথু চাটান চেয়ারম্যান মালেক। ঘটনার পরদিন রাতে ওই যুবক গলাই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু প্রভাবশালী চেয়ারম্যান মালেকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
৩ জন বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে মৃত দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে ওই কার্ড গুলো অন্য ৩ জনকে করে দেয়ার অভিযোগটিও ক্ষমা প্রার্থনা করে ছাড়া পেয়েযান।
একটি ধর্ষনের ঘটনার বিচার করে জরিমানার টাকা ধর্ষিতাকে না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন বিএনপি থেকে আ' লীগ যোগদান করা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক। পরে ওই মহিলা চেয়ারম্যান মালেকের বিরুদ্ধে আতালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরে জামিনে মুক্ত হন।
অপর দিকে সরনজাই তাতিহাটি সড়কে চেয়ারম্যান মালেক নিজেই চেয়ার বসে থেকে লেবার দিয়ে রাস্তার সরকারী গাছ কেটে বিক্রি করেন। ওই সময় তার এমন কর্মকান্ডের ছবিসহ পত্র পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হলেও তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেননি।
সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি এমন সমাজবিরোধী কর্মকা- করে এলাকায় সমালোচনার মুখে পড়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন মালেক। তাকে এবারো নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় দলীয় নেতাকর্মি সমর্থকসহ ভোটাররা হতাশায় ভুগছেন।
সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জাতীয় পার্টি দিয়ে রাজনীতির জীবন শুরু করেন। পরে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তানোর উপজেলা বিএনটমপির ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।
ওই সময় মালেক সিধাইড় এলাকার একটি ফুটবল মাঠ দখল করে (বোরের) কুল বাগান করার ঘটনায় ওই সময় তাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়। বিএনপি থেকে বহিস্কারের পর আ' লীগে যোগদান করে সরনজাই ইউপি চেয়ারম্যান পদে আ' লীগের মনোনয়ন নিয়ে ফেল করেন।
গত নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গত ৫ বছরে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকা- করে এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার পরও এবার আবার মালেককে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় হতাশায় ভুগছেন নেতাকর্মি সমর্থকসহ ভোটাররা।