বগুড়ার শেরপুরে একটি কোম্পানীতে বালু দেয়াকে কেন্দ্র গাড়িদহ পশ্চিম শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মতির গ্রুপের মধ্যে ১৭ অক্টোবর রোববার সকালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ওই এলাকায় শেরপুর ও শাজাহানপুর থানার পুলিশ অভস্থান নিয়েছিল।
জানা যায়, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জামুন্না গ্রামে কোয়ালিটি ফিডে পুকুর ভরাটের জন্য বালুর প্রয়োজন হওয়ায় শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের পশ্চিম অঞ্চলের সভাপতি মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক মতিকে সমঝোতার মাধ্যমে অর্ধেক করে ভরাট করে দেয়ার মৌখিক অনুমতি দেন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। মোজাম্মেল হক তার অংশটুকু ভরাট করার পর বাকি অর্ধেক সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মতিকে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পুকুর ভরাটে বালু সরবরাহ করতে দেয়া হয়না। এই নিয়ে সাধারণ সম্পাদক মতি পাঁচজন কর্মীকে নিয়ে গাড়িদহ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় একটি বৈঠক করে। বৈঠক চলাকালীন অবস্থায় সভাপতি মোজাম্মেল হক তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী ৭০ টি মোটর সাইকেল নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। পরে মতির গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়ে সভাপতির গ্রুপকে পাল্টা ধাওয়া করে। ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা ধাওয়া খেয়ে দিক-বেদিক ছুটলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের তিনটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে শেরপুর ও শাজাহানপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে এবং সারাদিন সেখানে অবস্থান করেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে গাড়িদহ ইউনিয়নের পশ্চিম অঞ্চলের সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, মতি গ্রুপের ঠান্ডু ও সবুজ বালুর গাড়ি ঠেকিয়ে দেয়ার কারণে বিচ্ছিন্ন এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মতি বলেন, কোম্পানীর দেয়া শর্ত মোতাবেক বালু সরবরাহ করতে না দিয়ে উল্টো আমাকেই সভাপতির সন্ত্রসীরা ধাওয়া করেছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, এ ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। এ ছাড়া ওই এলাকার পরিবেশ শান্তই রয়েছে।