ভাষার মাস আসলেই আমাদের সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের শুরু হয়ে যায় মায়া কান্না। কিন্তু সাড়া বছর রক্ত দিয়ে অর্জিত প্রিয় এই বাংলা ভাষা, ভাষা শহীদ আর ভাষাসৈনিকদের বিষয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা থাকে না। কারণ কি? কারণ একটাই। আর তা হলো- বাংলা ভাষার প্রতি রাষ্ট্রের উদাসিনতা-অবহেলা। উত্তরণে নতুন প্রজন্মের প্রতিটি প্রতিনিধিদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে করে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতরা বুঝতে পারে এই দায়িত্ব পালনে নিবেদিত থাকতে হবে তাদেরকে। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারকে যদি গুরুত্ব দিতে পারে, তাহলে কেন মুক্তিযুদ্ধের উৎসঘর মহান ভাষা আন্দোলন, ভাষা শহীদ ও ভাষাসৈনিকদের পরিবারকে গুরুত্ব দিতে পারবে না! ভাষাসৈনিকদের তালিকাও কেন হবে না এত বছর পরেও। যেখানে এই ভাষা আন্দোলন আমাদেরকে বিশ^ময় গর্বিত করেছে, এনে দিয়েছে রাষ্ট্রিয় সম্মান! প্রায় ৭ দশক পার হয়ে গেলেও তৈরি হয়নি ভাষা সৈনিকদের পুর্ণাঙ্গ নামের তালিকা। এ নিয়ে ২০১০ সালে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা দেয়ার দশ বছরেও কোনো অগ্রগতি নেই কেন?
ভাষার রাষ্ট্রকথা বলতে গিয়ে ১ যুগ আগের স্মৃতিকথা তুলে ধরছি- বাংলা ভাষার গৌরবের আন্দোলনে সম্পৃক্তদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। ওই রিটের প্রেক্ষিতে নির্দেশনাও দেয়া হয়। পরে ২০১১ সালের ২০শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি এক বছর পরে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেয়া ১৪ নারীসহ জীবিত ৬৮ জনকে ভাষাসৈনিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশ করে। তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ২০১২ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সেখানে কিছু নামে তৈরি হয়েছিলো বিতর্ক। কিন্তু এমন হবে? কেন সারাদেশের সকল ভাষাসৈনিকদের তালিকা হবে না? উত্তর একটাই রাষ্ট্রের উদাসিতা, রাষ্ট্রিয় ভাষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের লোভ মোহ। তা না হলে প্রায় ৭ দশ পরে এসেও এমন গর্বিত ইতিহাসের বিকৃতি কেন হবে!
এখানে একটু বলে রাখি- ভাষাসৈনিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, আব্দুল মতিন, গাজীউল হক, অধ্যাপক আব্দুল গফুর, কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী, শামসুল হুদা, রেজাউল করিম-এর বরেণ্য ব্যক্তিদের ¯েœহ আর ভালোবাসায় কেটেছে আমার দীর্ঘ সময়। শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে আমার আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচীতে তাঁরা যখনই এসেছেন, বক্তব্যে বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের সেই ইতিহাসকে বুকে লালনের মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন, ভাষা শহীদ, ভাষাসৈনিক এবং বাংলা ভাষাকে যথাযথভাবে যেন মূল্যায়ণের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের কাছে দাবি জানাই। ২০০৫ সালে তারই ধারাবাহিকতায় আমরা তৎকালিন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এরপর বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে ৩ বার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ভাষাসৈনিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কি ভাষা শহীদ এবং ভাষাসৈনিকদের কোন নির্দৃষ্ট তালিকা প্রণয়ন, তাদের মূল্যায়ণ করার কোন উদ্যোগ নিয়েছে? নেয়নি। কিন্তু কেন?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে জানতে পারি- অন্যান্য জেলা শহরের মত কুমিল্লাতেও ভাষা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এক ঝাঁক তরুণ। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার, রেয়াছত আলী প্রমুখ। আমার পৈত্রিক নিবাস বরিশালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আমাকে কৈশোর থেকেই অন্য জেলার ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার ইচ্ছেকে দিয়েছিলো শুভ্র ডানা। সেই ডানায় ভর করে যেমন বাগেরহাট, টাঙ্গাইল, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলার ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জেনেছি, জানা হয়নি কুমিল্লার ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। তাই জানার অপার আগ্রহ থেকে কয়েকজন জীবন্ত কিংবদন্তি ভাষাসৈনিকের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি। ভাষাসৈনিক রেজাউল করিম স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, শুধু ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ই নয়; বিভিন্ন জেলায় জেলায় হয়েছে কঠোর আন্দোলন। সেই আন্দোলনের কথা সেই সময়েই যখন আমরা জানতে পারি, তখন নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফেনী, কুমিল্লাসহ বেশ কিছু জেলার কর্মসূচি সম্পর্কে আমাদের ধারণা হয়েছিলো। এমন অসংখ্য তথ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জেলা পর্যায়ের ভাষা আন্দোলন নিয়ে। তারই আলোকে জানতে পারি- ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ও সংগঠক হিসেবে বায়ান্নর সেই সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন তাঁর এলাকায়। শিক্ষাঙ্গণেও ব্যাপক আলোচিত ছিলেন নীতি-আদর্শ-সততা-মেধা-দক্ষতা আর বিনয়ের কারণে। তিনি যখন জানতে পারলেন মায়ের ভাষা উর্দু করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। আর তা প্রতিহত করতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ছাত্র-শিক্ষকগণ।
শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থাকা স্বত্বেও অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরকে তিনি অনুপ্রাণিত করে, সংগঠিত করে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। তাঁর সেই ভূমিকা কুমিল্লার রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি সচেতন নাগরিকগণ এখনো শ্রদ্ধা ভরে মনে রেখেছেন। যেমন মনে রেখেছেন ভাষা আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তি রেয়াছত আলী মাস্টার। তাঁর মতে, কুমিল্লার ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বললেও চরম সত্য কথা হলো- ভাষা আন্দোলন মূলত শুরু হয় ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা এদেশ থেকে চলে যাওয়ার সময়েই। কারণ, তখন প্রথমে কথা হয়েছিল অখ- ভারতের। তাহলে রাষ্ট্রভাষা কি হবে প্রশ্ন দেখা দেয়। পরে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান আলাদা হলে আবারও বিপত্তি দেখা দেয়। তারই সূত্রতায় আমরা দেখেছি- পশ্চিম পাকিস্তানের রাষ্ট্রিয় নির্দেশনা দিয়ে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। আর সেটা অধিকাংশ জনসংখ্যার আবাসভূমি পূর্ববাংলার মানুষ মেনে নিতে পারেননি। ফলে আন্দোলন, বিক্ষোভ, পুলিশের গুলি এবং সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ অনেকে শহীদ হলেন। আর আমরা মফস্বলে থেকে ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে এগিয়ে গেলাম মরণের কথা ভুলে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে যে আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়ে রাজপথ হয়ে সারাদেশে। সেই আগুনে জ¦লে ওঠা কুমিল্লায় ‘নুরুল আমিনের রক্ত চাই, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে মিছিল হয়েছে। মিছিলে অংশ নেয়াদের অধিকাংশই শিক্ষার্থীই তখন অষ্টম বা নবম শ্রেণিতে অধ্যায়ণরত। তাদের সেই মিছিল সবাইকে আন্দোলিত করে। শিক্ষকগণ সেই মিছিলের প্রেরণা ছিলেন সেদিন। মা-বাবারাও ছিলেন সাহসের বাতিঘর হিসেবে বিক্ষুদ্ধ সেই আন্দোলনের নেপথ্য উৎসাহ হিসেবে।
যতদূর জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার আবদুর রাজ্জাক মাস্টার, জগৎপুরের আবু তাহের মেম্বার, সফিকুল ইসলাম কাঞ্চন মিয়া, বুড়িচংয়ের আবদুর রাজ্জাক মাস্টার, বাবু সত্যরঞ্জন ভট্টাচার্য্য, বাবু নেপাল চন্দ্র রায়, সামছুল হক হাবিলদার, আরাগ আনন্দপুরের মোহাম্মদ সোলায়মান, শিকারপুরের নেয়ামত উল্লাহ এডভোকেট, শিবরামপুরের রমজান আলী, আবদুল মোমিনসহ বেশ কিছু তরুণ ঝাঁপিয়ে পড়ে আন্দোলনে। মিছিলে স্লোগান ওঠে কোন ভয়-ডরের পরোয়া না করে। শিক্ষক আশরাফ সিদ্দিকীর ভূমিকাও ছিলো সেদিন আন্দোলনকে-মিছিলকে গতিশীল করার জন্য। অবশেষে সেই সাহসী শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনও আলোর মুখ দেখে। উপজেলা শহর থেকে জেলা শহর হয়ে সারাদেশে সোচ্চার হয় শিক্ষার্থী-শিক্ষকগণ। মেনে নেয়া হয় দাবি। পরাজিত হওয়া শুরু হয় সেই থেকে পাকিস্তানিদের। সেই বিজয়ের ধারাবাহিকতায় আজ খুব বেশি প্রয়োজন নিজেদের ভাষা শহীদ, ভাষাসৈনিক, ভাষা সংস্কৃতি চর্চায় যথাযথ গবেষণা-সংরক্ষণ ও মূল্যায়ণ। তা না করে যদি এভাবে ভাষাসৈনিকদেরকে অবহেলা করা হয়, একসময় হারিয়ে যাবে বিশ^ব্যাপী আলোচিত একমাত্র ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব। যে ভাষার জন্য রক্ত দিতে হয়েছে, সে ভাষা আমাদের বাংলা ভাষা। এই ভাষার জন্য নিজেদের কথা না ভেবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার-এর মত আর কোন ভাষাসৈনিক যেন আর রাষ্ট্রিয় সম্মান না পেয়ে সমাহিত না হয়, আর যেন কোন ভাষাসৈনিকের পরিবার বঞ্চিত না হয় রাষ্ট্রিয় সম্মান থেকে। এজন্য চাই ভাষাসৈনিকদের তালিকা, চাই সেই তালিকা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে আমাদের ভাষাসৈনিকদের জীবন-কর্ম ও ইতিহাস সংরক্ষণ করা হোক।
ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার-এর সন্তান সংবাদযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল অদুদের অক্লান্ত চেষ্টা আমাদের শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-সামাজিক ও নৈতিক উত্তরণ নিয়ে। এমন নিবেদিত থাকা চেষ্টার একটাই কারণ, আর তা হলো- বাবার মত করে ভাবা। বাবা রাজ্জাক মাস্টার কৈশোরে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, হারিয়েছেন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হাত। তবু থেমে থাকেন নি। নিরন্তর রাজপথে থেকেছেন নিপীড়িত-নির্যাতিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, ছড়িয়েছেন জ্ঞানের আলো, ছিলেন সমাজকল্যাণে। কখনোই তাকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ করে রাখতে পারেনি। তিনি নিবিড়ভাবে বাংলাদেশকে ভালোবেসেছেন। সন্তান-সংসারের আলো জ¦ালার পাশাপাশি শিক্ষক হিসেবে অসংখ্য শিক্ষার্থীর মাঝে জে¦লেছেন নীতির আলো, প্রীতির আলো, শিক্ষার আলো। যে আলোতে আলোকিত শত সহ¯্র শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন স্তরে নিজেদের অবস্থান নির্মাণ করেছেন, গড়েছেন দেশের কোথাও না কোথাও নীতির বাতিঘর।
একজন লেখক হিসেবেও তিনি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন, চেয়েছেন আমরণ দেশ ও মানুষের কল্যাণ। যে কারণে জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মসূচিকে তিনি সবসময়ই সমর্থন করেছেন। সন্তানদেরকে গড়েছেন নীতি আদর্শের সোপান দিয়ে। একাত্তরের অগ্নীঝরা দিনগুলোতেও তিনি নিজের ধ্যান-জ্ঞান সব নিবেদিত রেখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের জন্য-মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হওয়ায় তাঁর মধ্যে সবসময়ই ছিলো লোভ মোহহীন নিমগ্ন জ্ঞান বিতরণের চিন্তা। তিনি নিজের জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত তার চেষ্টা অব্যহত রেখেছিলেন বিশ^াস-সততা- মেধা- যোগ্যতা-দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশ-শিক্ষা-সমাজ-ধর্ম-মানবতার কল্যাণে। এমন অবিরাম মুগ্ধ করা দেশপ্রেমিক, ভাষাসৈনিক, শিক্ষাজনের চলে যাওয়া আমাদের জন্য ব্যাথার- বেদনার হলেও তিনি যে কর্ম করে গেছেন সেই কর্ম আমাদেরকে সাহসী করে তোলে, সেই সাহসের হাত ধরে আবারো বলছি- ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার-এর মত সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভাষাসৈনিকদের তালিকায় আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য নিবেদন করা হোক। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা যে ভাষা আন্দোলন, সেই ভাষা আন্দোলন, ভাষা শহীদ, ভাষাসৈনিকদের তালিকা না করে লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার যে তালিকা করা হয়েছে, তা থেকে যাবে ব্যর্থ হয়েই। অতএব, দ্রুত তালিকা হোক, হোক ভাষাসৈনিকদের যথাযথ মূল্যায়ণ...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি এবং সদস্য, ভাষা-সংস্কৃতি মঞ্চ