‘‘বেকারত্ব দূরিকরণে মৌ চাষ’’ বিষয়ক সেমিনার এবং আধুনিক পদ্ধতিতে মধু প্রসেসিং প্লান্ট মাগুরা ইছাখাদা গ্রামে আনুষ্টানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। উন্নত চায়না প্রযুক্তির এ মেশিনে মধু প্রসেসিং করার মাধ্যমে সম্পূর্ন রুপে মধু থেকে পানি বের হবে। ফলে বাজারে এখন থেকে নতুন ব্যান্ড ‘মাগুরা হানি’ নামের খাঁটি মধু পাওয়া যাবে-যা ত্রিশ চল্লিশ বছর পর্যন্ত সংরক্ষন করা যাবে।
মঙ্গলবার মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা গ্রামে ‘মা মৌ খামার’ ও প্রচেষ্টা মৌ চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেরে যৌথ আয়োজনে মধু প্রসেসিং প্লান্ট উদ্বোধন এবং মৌ চাষি প্রশিক্ষন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষনে মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদাহ, যশোর, কুষ্টিয়া, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলার দুইশতাধিক মৌ খামারি অংশগ্রহণ করে।
অত্যাধুনিক মধু প্রসেসিং প্লান্ট ও প্রশিক্ষন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম। অনুষ্ঠানে মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াছিন কবীর সভাপত্বি করেন। বিশেষ অতিথি এবং প্রশিক্ষক হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক, জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলাম, বিসিকের উপ-ব্যাবস্থাপক ফরিদা ইয়াসমিন এবং মা মৌ খামারের প্রতিষ্ঠা মোঃ মোখলেছুর রহমান।
বক্তারা বলেন, অল্প পূজিতে মৌ চাষ অনেক বেশি লাভজনক। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মাগুরায় প্রায় দুই শতাধিক মৌ চাষি তাদের খামার গড়ে তুলেছেন। শরিষা, কালোজিরা, ধুনে, লিচু, সূর্যমূখী, পিয়াজ ও সুন্দবনের বিভিন্ন ফুল থেকে মৌ বক্স বসিয়ে মৌ মাছির মাধ্যমে মধু উৎপাদন করছে মৌ চাষিরা। মধুর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশালসহ দেশের প্রতিটি জেলায় মাগুরার মধু’র চাহিদা ও সু-নামের সাথে বিক্রি হচ্ছে। ফলে লাভবান হচ্ছেন মৌ চাষিরা।