শেষ হয়েছে ইলিশ আহরণের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। এদিকে প্রায় ১ মাস পর ইলিশ আহরণের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা পাইকগাছার জেলেরা। পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া গেলে বিগত ১ মাসের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবে এমন আশা করছেন এলাকার জেলেরা। তবে নিষেধাজ্ঞা এ সময়ে এলাকার কোনো ইলিশ আহরণকারী মৎস্যজীবী সরকারি কোনো সহায়তা পায়নি। এজন্য দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে অত্র এলাকার জেলেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সব ক্ষতি পুশিয়ে যাবে এমন আশা নিয়ে ইলিশ আহরণে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলেরা। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস জানান, অত্র উপজেলার শিবসা, হাপরখালী, চৌমুহনী সহ সুন্দরবন সংলগ্ন কয়েকটি নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়। অত্র উপজেলায় ১২১ জন তালিকা ভুক্ত ইলিশ আহরণকারী মৎস্যজীবী রয়েছে। এরা বেশিরভাগ সোলাদানা, দেলুটি, গড়ইখালী, লস্কর ও হরিঢালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকার ২২ দিন দেশের নদ-নদী থেকে ইলিশ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ সময়ে অত্র এলাকার মৎস্যজীবীরা যাতে সরকারি সহায়তা পায় এজন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর চাহিদা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু অত্র এলাকা ইলিশ জোন না হওয়ায় সরকারি কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। তবে আশা করছি সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় পূর্বের ন্যায় মৎস্যজীবীরা এলাকার নদী থেকে ইলিশ আহরণ করতে পারবে। নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় মা ইলিশ প্রচুর ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। এজন্য একদিকে আগামীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অপরদিকে দীর্ঘদিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় নদ-নদীতে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যেতে পারে। এতে ইলিশ আহরণকারীরা তাদের পিছনের ক্ষতি অনেকটাই পুশিয়ে নিতে পারবে। দেলুটি ইউনিয়নের হরিণখোলা গ্রামের মৎস্যজীবী অশোক বিশ্বাস জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা এ সময়ে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। বিগত এক মাসের ক্ষতি পুশিয়ে নেওয়ার আশা নিয়ে ইলিশ আহরণের প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি আশানারুপ ইলিশ পাওয়া যাবে।