ভোলার দৌলতখানের মেঘনায় জেলেরা ইলিশ শিকারে মেতে উঠেছে। দীর্ঘ ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর অভিযান শেষে ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত থেকে জেলেরা মহোৎসবে ইলিশ শিকারে নেমেছে। জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশসহ বহু প্রজাতির প্রচুর মাছ। ইলিশ ছাড়া এসব মাছের মধ্যে রয়েছে পাঙ্গাস, কোরাল, ছিতল, পোয়া, সুররাহ, আইড়, শৈল, বোয়াল ও চিংড়িসহ নানা রকমের মাছ। মৎস্য অধিদপ্তরের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন, কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের অভিযান শেষে দীর্ঘদিন পর মেঘনায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের মুখে হাসি ফোঁটছে। সংবাদ সংগ্রহে দৌলতখান থানা সংলগ্ন পাতার খাল মৎস্য ঘাট এলাকার প্রায় ৫৫টি মৎস্য আড়ত ঘুরে দেখা যায়, মৎস্য আড়ত গুলো জেলেদের জনসমাগমে খুবই সরগরম। মৎস্য শ্রমিকরা নৌকা-ট্রলার থেকে মাছ উঠা নামা করছে। মাছে বরফ দেয়া, বরফ ভাংগা, ঝুড়িকরা, পিকআাপ ও ট্রাকে তোলার কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছে তারা। ঘাট সংলগ্ন এলাকার দোকানপাটে বেচাকেনার ধুম পড়েছে। মৎস্যঘাট থেকে এসব ইলিশ সড়ক ও নৌ-পথে ট্রাক, লঞ্চ যোগে রাজধানী শহর ঢাকা, যশোর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাছ বাজারে পাঠানো হচ্ছে। ঘাট ঘুরে দেখা যায়, হাঁক-ডাকদিয়ে চলছে জেলেদের জালে ধরা পরা ইলিশ কেনাকাটার কারবার। পাইকারি বাজারে ২শ'গ্রাম থেকে আড়াইশ' গ্রামের ওজনের প্রতিহালী ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০টাকা। ৪শ' থেকে ৬শ' গ্রামের প্রতিহালী ১৩শ' টাকা। ৭শ' গ্রাম থেকে ৮শ'গ্রামের প্রতিহালী ২হাজার টাকা। ১কেজি থেকে দেড়কেজি ওজনের প্রতিহালী ৪ থেকে সাড়ে ৪হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। রিপন নামের এক জেলে জানান, অভিযান শেষে প্রত্যাশা অনুযায়ী নদীতে মাছ বাড়েনি। মোসলেউদ্দিন মিয়ার তহবিলে গিয়ে জানাযায়, তাদের বেশ কয়েটি তহবিলে প্রায় আড়াই লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। মৎস্য আড়তের লোকজনের সাথে আলাপ চারিতায় জানাযায়, মঙ্গলবার এ ঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন মাছ বাজারের মোকামে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার মেঘনা তীর এলাকার মেদুয়া, চরপাতা, ভবানীপুর,গুপ্তগঞ্জ ও এছাক মোড়ের মৎস্যঘাটে প্রচুর ইলিশ বেচা-কেনা হয়েছে। এরির্পোট লেখা পর্যন্ত আজ বুধবার সকাল থেকে আড়ত গুলোতে প্রচুর ইলিশ কেনাকাটা চলছিল।