রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কাপ্তাই ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। আহতরা কাপ্তাই উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নতুন বাজার মা বেকারীর সামনে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নিহত সজিবুর রহমান ৫ ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। আহতেরা হলেন-মো. আলাউদ্দিন (৪৫), মো. সালাউদ্দিন (৫৫) ও আবদুল জলিল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত সজিব আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল লতিফের সমর্থক। লতিফ এবার আবারো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন পাটোয়ারি বাদলও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে নতুন বাজার এলাকায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয় এবং এ সময় ভারি কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করায় গুরুতর আহত হন সজিবুর রহমান ওরফে সজিব মেম্বার। এতে আরো ৩জন আহত হন। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর সেখানেই চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ওমর ফারুক জানিয়েছেন, রাতে আহত আবস্থায় ৪ জনকে হাসপাতালে আনলে কাপ্তাই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার সজিবুল রহমান মৃতুবরন করেন, বাকী ৩ জনের চিকিৎসা।
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব জানিয়েছেন, নতুন বাজারে চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতি থেকে মারিমারির ঘটনা ঘটে। পরে সজিবুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঐ ঘটনায় ৪ জনকে পুলিশ আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর রাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাপ্তাইয়ের চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেথোয়াই মারমা নিহত হন। এ নিয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় কাপ্তাই উপজেলায় ২ জন নিহত হয়েছেন।