হাটহাজারীতে শনিবার অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ীর আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্হাপন প্রকল্পের আওতায় কৃষক গ্রুপের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তাই তাদেরকে স্বাস্থ্যবান জাঁতি হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। আর এই প্রজন্মকে স্বাস্থ্যবান হিসেবে গড়ে তুলতে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। দেশের অধিকাংশ মানুষের পক্ষে বাজার থেকে পুষ্টিকর ফল মুল ক্রয় করে খাওয়ানোর সামর্থ্য নেই। যদি বাড়ির পাশে পতিত জমি ও বসত ঘরের আঙ্গিনায় ফলদ গাছ, শাক সব্জি ও তরিতরকারি চাষাবাদ করা যায় তাহলে সহজে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পুরন সম্ভব হবে। এই বিষয় চিন্তা করে সরকার দেশের প্রত্যেক ইউনিয়নে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্হাপনের প্রকল্প গ্রহন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি ইউনিয়নে একশটি করে বাগান স্হাপন করা হবে। এইসব বাগান দেখে সমাজের অন্যান্যরা ও যাতে এই ধরনের বাগান করতে এগিয়ে আসে।
হাটহাজারী পৌরসভার আলিপুরস্হ কৃষি মাঠে এ উপলক্ষে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মঞ্জুরুল হুদা। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয় পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুর রৌফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পরীক্ষন ও মূল্যায়ন, বাস্তবায়ন বিভাগের মহা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ আফজল হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা -২ অধিশাখার যুগ্ম সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা -৭ শাখার উপ- সচিব সুজয় চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মাইদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোঃ আক্তারুজ্জামান, উপপরিচালক শেখ আবদুল্লাহ ওয়াহেদ, বিভাগীয় কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, হাটহাজারী উপজেলা কৃষি কর্মকতা আল মামুন সিকদার। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের বিষয়ে মতামত প্রদান করেন হাটহাজারী প্রেস ক্লাব সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া। কৃষকদের পক্ষে মতামত প্রদান করেন হারুন অর রশীদ, মেঃ সালাউদ্দিন ও ফাতেমা বেগম প্রমূখ। মতামত প্রদান করেন উপ সহকারী কৃষি কর্মকতা মোঃ জামাল উদ্দিন।
হাটহাজারীে কর্মকর্তারা এসে আলিপুর এলাকায় একটি ভার্মি কম্পোষ্ট সার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।