সারিয়াকান্দির চরাঞ্চল বাহারী ফসলের কারণে মনমুগ্ধকর সবুজের সমারহে ভরে উঠেছে। ফসলে ফসলে ছেয়ে গেছে চরের দিগন্ত জোড়া মাঠ। যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই চোখে পরে ফসলে মাঠ। সরকারি দপ্তরের বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা প্রায়ই চরের সবুজ ফসলের মাঠ পরিদর্শন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী কাজলা কর্ণিবাড়ী চন্দনবাইশা ও বোহাইল ইউনিয়নের সম্পূর্ন অংশে যমুনা নদী প্রবাহিত। নদীর বিভিন্ন আঁকে বাঁকে গড়ে উঠেছে নতুন চরাভূমি। এরকম চর রয়েছে প্রায় ৯০ টি। এছাড়াও হাটশেরপুর, সারিয়াকান্দি সদর ও কামালপুর ইউনিয়ন আংশিক এলাকা যমুনা নদীর চরাঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এসব চরের উল্লেখযোগ্য হলো চরদলিকা, ফাজিলপুর, মানিকদাইড়,পৌতিবাড়ি, হাটবাড়ী, শিমুলতাইড়, বেনিপুর, কাজলা, কর্ণিবাড়ি, হাটশেরপুর, নান্দিনার চর শঙ্করপুর,ধারাবর্ষা, চরমাঝিরা, কেষ্টিয়ার চর ও বাটিরচর। বন্যা পরবর্তী এখানকার চাষীরা চরের জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করেছেন। মাস দেড়েক আগে যে চরে ছিল। যমুনা নদীর অথৈ পানি আজ সেখানে করা হয়েছে হরেক রকমের ফসল। মনে হচ্ছে এমন কোন ফসল নেই চরের কৃষকরা তা করেনি।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এপর্যন্ত চাষ করা হয়েছে উঁচু-নিঁচু জমিতে স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ধান ২ হাজার ৭’শ হেক্টর, মরিচ ৩ হাজার ৪৭০, গোল আলু ১২ ,সরিষা ৪৫, চীনা বাদাম ২৩৫, পেঁয়াজ কন্দ ১৫, গম ৫, ভুট্টা ৩১৫, মিষ্টি আলু ৪০, খেঁরাছি ৫, মসুর ডাল ১৪০, খেসারী কালাই ২৫, রসূন ১৬, ধনিয়া পাতা ১৩, তিল ১০,কালোজিরা ১, কেসর আলু ৫, মূলা ১৫, নেপিয়ার ঘাস ১০ ও অন্যান্য ফসল ৪০ হেক্টর। কাজলা ইউনিয়নের ময়ূরের চরের কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন আমি সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ বিঘা চরের জমিতে বিভিন্ন ফসলাদি চাষ করেছি।ফসলে এখন পর্যন্ত কোন রোগ বালাই লাগেনি। সব রকমের ফসলের জমিতে তরতর করে বেড়ে উঠেছে গাছ গুলো। ফসলের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে চরে এবার ফসল ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হালিম বলেন, এবার তো যমুনা নদীতে ভয়াবহ বন্যা হয়নি। যে পরিমান পানি এসেছে তাতে ছিল উর্বর পলি যুক্ত কাঁদা মাটি। চরের জমিতে এই পলিমাটি পরায় জমির উর্বরতা শক্তি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চরের পরিশ্রমী চাষীরা জমির সেই উর্বরতা কে কাজে লাগিয়ে ইঞ্চি
পরিমান জমিও অনাবাদি রাখতে নারাজ। আমরা আশা করছি চরের চাষিরা সব রকমের চাষাবাদে ভালো ফলন পাবেন এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভোবান হবেন