পানি কমতে থাকায় তীব্র ¯্রােত দেখা দিয়েছে পদ্মায়। ¯্রােতের তীব্রতায় জেলা সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের পদ্মার গোদারবাজার এলাকার শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধের নিচে অবস্থিত তীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ফের ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।গত কাল বিকালে অব্যাহত ভাঙ্গনে প্রতিরক্ষা বাঁধের ১শ মিটার এলাকা ধ্বসে গেছে।
ভাঙ্গনে এসব এলাকার বেশ কয়েকটি পাঁকা ও আধা পাঁকা বাড়ি, গাছ পালা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গত সপ্তাহে একই স্থানের সিসি ব্লকে বাঁধানো ৩শ মিটার এলাকা, ১০টি পাকা ও আধা পাকা বাড়ি এবং বড় বড় গাছ নদীতে বিলীন হয়। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তীর সংরক্ষন বাঁধ ভাঙতে ভাঙতে এখন বেড়ি বাঁধের মাত্র কয়েক মিটারের কাছে চলে এসছে। ¯্রােতর তীব্রতায় বিশাল এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। প্রতিরক্ষা বাঁধের সিসি ব্লকে স্থানে স্থানে ফাকা হয়ে যাওয়ায় পুরো ৭ কিলো মিটার এলাকা ভাঙ্গন হুমকিতে পরেছে। হুমকিতে পরেছে শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধ ও জেলা শহর।
¯্রােতের তীব্রতায় গত সপ্তাহে বাড়ি ঘর ,গাছপালা সহ প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩শ মিটার এলাকা নদী গর্ভে ধ্বসে যাওয়ার পর গত কাল বিকালে গোদারবাজার এলাকার বাম পাশে ফের একই স্থানে ১শ মিটার এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়।ভাঙ্গ অব্যাহত থাকায় এ স্থানের আরো বেশ কিছু পাকা ও আধাঁ পাকা বাড়ি ঘর, গাছপালা, মসজিদ, এতিমখানা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অর্ধ শতাধিক বসত ভিটা ভাঙ্গ ঝুকিতে রয়েছে।ধ্বসে গেছে সংরক্ষন এলাকার প্রায় ২৫ হাজার সিসি ব্লক।ভাঙ্গন কবলিতরা বসবাস করছেন জীবনের ঝুকি নিয়ে।প্রতিটি রাত যাপন করছেন আতঙ্ক নিয়ে। এষানকরা পরিবার গুলো ভাঙ্গনের ভয়ে বাধ্য হয়ে পাঁকা ও আধা পাকা বাড়ি ঘর ভেঙ্গে চলে যাচ্ছেন অন্যত্র।
চলতি বছরের মে মাসের শেষে ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান কাজ শেষ হয় তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের।এই মধ্যে প্রতিরক্ষা বাঁধে ২০টি স্থানে ১২ বার ভাঙ্গন দেখা দেয়।এতে এ পর্যন্ত ১৩শ ২৫ মিটার তীর সংরক্ষন বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়।বর্তমানে সিসি ব্লকের স্থানে স্থানে ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় প্রতিরক্ষা বাঁধের ৭ কিলোমিটারের পুরো অংশ এখন ভাঙ্গন হুমকিতে পরেছে, হুমকিতে পরেছে পুরো বাঁধ এলাকা।বার বার ভাঙ্গনের কবলে পরে পুরো বাঁধ এখন ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে।শহর রক্ষা বেড়ি বাঁধ ও শত শত পারিবারের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভয়াবহ ভাঙ্গনের কারণে দিশেহারা বসবাসরত এসব মানুষ। বারবার ভাঙ্গনের কবলে পরে এখন শেষ সম্বল হারিয়ে কোথায় যাবেন কি করবেন তা নিয়ে রয়েছেন দুঃচিন্তায়, প্রতিটি মূহুর্ত কষ্টে চলছে তাদের।বসবাসের জন্য সরকারের কাছে নদী শাসনের দাবী জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসি।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী- আবদুল আহাদ তিনি বলেন, গত মে মাসের ২৬ তারিখ থেকে তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ২০টি স্থানে ১ হাজার ৩শ ২৫ মিটার সিসি ব্লকে বাঁধানো বাঁধ ভাঙ্গন কবলিত হয়েছে।ভাঙ্গন রোধে জিও টিউব ও জিও ব্যাগের বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু নদীর গভিরতা তীরের কাছে চলে আসায় ভাঙ্গন দেখা দেয় অন্য স্থানে।তবে আজকে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ভাঙ্গন স্থান থেকে স্লাইড করে নদী গর্ভে চলে যায়।