জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা। মোটরসাইকেল ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে ইউনিয়নের মহব্বতপুর সাখিদারপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, আবদুর রশিদ বকুল বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। গত সোমবার বিকেলে তিনি ইউনিয়নের মহব্বতপুর সাখিদারপাড়া গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মশিউর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে সেখানে পৌঁছান। তাঁরা বেলালের মোড়ে থাকা পাঁচটি মোটরসাইল ভাংচুর করে। এরপর তাঁরা একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুর রশিদ বকুল নিজেই বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় ২৩জন নামীয়সহ অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মশিউর রহমান শামীমের কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে। তবে মামলার আসামীদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল।
এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুর রশিদ বকুল মঙ্গলবার বেলা তিনটায় ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার সমর্থকদের উপর হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মামলা দায়ের পর প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মশিউর রহমান ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা পাল্টা আমাদের বিভিন্ন ভাবে ফাঁসানোর চক্রান্ত করছে। তিনি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
নৌকার প্রার্থী মশিউর রহমান শামীম বলেন, তারা নিজেরাই এমন ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপর মামলা করেছে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল যুগান্তরকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মোটরসাইকেল ভাংচুর ও পুড়িয়ের দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।