রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতিসহ চারজনের ওপর সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজদের হামলার ঘটনায় চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনের বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আরইউজে মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এ সময় রাজশাহীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ভুঁইফোড় প্রেসক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন মেয়র লিটন।
আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হকের সঞ্চালনায় সভায় মেয়র লিটন বলেন, সাংবাদিকতা মহান পেশা। এ পেশাকে যাতে কেউ কলুষিত করতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকা উচিত। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি ভুঁইফোড় কিছু সাংবাদিকের হাতে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতিসহ চার সাংবাদিককে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমি এই ঘটনায় প্রচ- মর্মাহত হয়েছি। সময় এসেছে অপসাংবাদিকতা রুখে দেয়ার। তাই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ভুঁইফোড় প্রেসক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এ সময় দায়িত্ব অবহেলাকারী বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মনকে দ্রুত অপসারণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মেয়র লিটন।
সভা থেকে নগর পিতার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিতের ঘোষণা দেন আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, নগর পিতার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত করলাম।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরইউজের সিনিয়র সদস্য কাজী গিয়াস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ইবনে ওবায়েদ রিপন, কার্যনির্বাহী সদস্য বদরুল হাসান লিটন, শরিফ সুমন, আরইউজে কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, রাজশাহী ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, সিনিয়র ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিন, সেলিম জাহাঙ্গীর বক্তব্য দেন।
এ সময় আরইউজে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুজ্জামান, আরইউজে সদস্য সেখ জিয়াউল হক, সালাহ উদ্দীন, রিমন রহমান, গুলবার আলী জুয়েলসহ রাজশাহীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ রাজশাহীতে কর্মরত চার মূলধারার সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় সাংবাাদিক নামধারী কতিপয় দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় আরইউজে সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক বাদী হয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ তিন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করে। আর দায়িত্বে অবহেলা এবং দুর্বৃত্তদের প্রশয় দেওয়ার অভিযোগে বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মনকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।