রাজশাহীর পুঠিয়া-তাহেরপুর ২৭ কিমি সড়কের পুণঃসংস্কারের কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের পাশে থাকা জমি থেকে অনুমতি ছাড়ায়, জোরপূর্বক মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে স্থানীয় জমির মালিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঠিকাদার বাহির থেকে প্রয়োজনীয় মাটি এনে সড়কের দুই পাড়ি ভরাট দেবেন।
জানা গেছে, গত অর্থ বছরে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুঠিয়া হতে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক পুণঃসংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আর সংস্কার কাজটি করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোহাস্মদ আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড। সরেজমিনে দেখা গেছে, পুঠিয়া সদর এলাকাসহ উপজেলার ধোকড়াকুল, বাসুপাড়া, কার্তিকপাড়া ধোপাপাড়ার সড়কের দু’পাশের জমি থেকে ঠিকাদারের শ্রমিকরা মাটি কাটছেন। আর মাটিগুলো ওই সড়কের দুই পাশে ভরাট করছেন। শুধুমাত্র বাজার এলাকা গুলোতে বাহির থেকে মাটি এনে ভরাট করতে দেখা যাচ্ছে। ধোকড়াকুল এলাকার জমির মালিক ওসমান গনি বলেন, ঠিকাদারের লোকজন আমাদের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়েই সড়কের দুইধারে মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ করছে। কোনো জমির মালিক মাটি কাটার প্রতিবাদ করলে, ঠিকাদারের লোকজন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন। তাই আইনের ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কায় আমরা কোনো প্রতিবাদ করছি না। পুঠিয়া পৌরসভা এলাকার তাহের আলী নামের একজন ভুক্তভোগি বলেন, নিয়নুযায়ী ঠিকাদার বাহির থেকে মাটি এনে সড়কের কাজ করার কথা রয়েছে। কিন্তু সড়কের কাজে আসা লোকজন কাউকে কিছু না বলেই পাশের জমির ওপরের অংশের মাটি কেটে সড়কে দিচ্ছেন। মাটি কাটার প্রতিবাদ করলে, ঠিকাদারের লোকজন বলছে সরকারি আর্দেশ আছে তাই তারা পাশের জমি হতে মাটি কাটছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোহাস্মদ আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার রায়হানুল হক বলেন, সড়কের দু’পাশের মাটি ভরাটের কাজ একজন সাপ্লাইয়ারকে দেওয়া হয়েছে। তিনি বাহির থেকে ট্রলিতে মাটি এনে ভারাট করছেন বলে আমি জানি।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথের রাজশাহী বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাস্মদ সামসুজ্জোহা বলেন, ঠিকাদার বাহির থেকে প্রয়োজনীয় মাটি এনে সড়কের দুই পাড়ি ভরাট দেবেন। সড়কের সঙ্গে থাকা ফসলি জমির মাটি কেটে ব্যবহার করার কোনো নিয়ম নেই। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। তবে এ বিষয়টি এখন খোঁজ নেওয়া হবে।